তিন মহানগরে একক প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩০

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দেয়া নিয়ে জোটের শরিক বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে টানাপড়েনের মধ্যে এই নগরীর পাশাপাশি বরিশাল ও রাজশাহীতেও মেয়র পদে জোটের একক প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা এসেছে।

বুধবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান।

আগামী ৩০ জুলাই যে তিন মহানগরে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে বিএনপি তিনটিতেই মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে জোটের শরিক জমায়াতে ইসলামী সিলেটে বিএনপির বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে না মেনে এহসান মাহবুব জুবায়েরকে প্রার্থী করেছে।

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, যা কিছুই হোক, তারা সেখানে নির্বাচন করবেনই। এতদিন তারা বিএনপিকে সব জায়গায় সমর্থন দিয়ে এসেছেন, এখন বিএনপিকে ছাড় দিতে হবে।

সিলেট নিয়ে জামায়াতের এই আচরণে অন্য দুই নগরেও জোটের ঐক্যে ভাটা পড়ে কি না, এ নিয়ে কথা উঠে হয়।

তবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখন সব থেকে আলোচনায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আমাদের ২০ দলের নেতারা জোটের একক প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। একক প্রার্থীর পক্ষে জোটের প্রতিটি নেতাকর্মী সমন্বিত ভাবে কাজ করবে।’

তাহলে কি গাজীপুরের মতই সিলেটের ভোট থেকেও সরে দাঁড়াবে জামায়াত নাকি বিএনপিই সরে যাবে?- এমন প্রশ্নে নজরুল সরাসরি জবাব দেননি। বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি তিন সিটিতে ২০ দল একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না।’

‘এখনও তো প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যায়নি। পরবর্তীতে সে বিষয়ে জোটের মতামত তুলে ধরা হবে।’

এরই মধ্যে তিন মহানগরে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের নামও ঘোষণা হয়েছে। তবে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে প্রার্থীদের। এর মধ্যেই সমঝোতার আশা করছেন বিএনপি নেতা।

সিলেটে জামায়াতের আচরণে জোটের মধ্যে টানাপোড়নের নমুনা কি না, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এটা নিয়ে জামায়তের সাথে তাদের কোনো টানাপোড়ন কাজ করবে না। জামায়াতের সাথে ২০ দলের একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।’

বৈঠকে দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও তার ‘সুচিকিৎসার’ দাবি জানানো হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন নিয়ে সরকার ছলছাতুরি করছে অভিযোগ করে এরও প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করা হয় ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও গ্রেপ্তারেরও নিন্দা জানান নজরুল। বলেন, ‘সরকার তাদেরকে নিয়ে তামাশা করছে।’

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের দাবির প্রতিও সমর্থন জানানো হয় ২০ দলের বৈঠকে।

সারাদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)দের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে দাবি করে নজরুল বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। এক দলীয় শাসন পাকাপোক্ত করার আর একটা ধাপ হলো এটা।’

অন্য এক প্রশ্নে নজরুল জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোরিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের সময় তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।

‘তবে আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন তিনি কিন্তু বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে।’

নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের সহায়তা চাইবেন কি না- জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘এখনো নির্বাচনে পাঁচ মাস বাকি। সময় আসুক। যদি এমন পরিস্থিতি হয় সেটা তখন দেখা যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/বিইউ/ডিএম/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :