নয় বছর তালাবন্দি গজারিয়া হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৮, ১১:৫১

মহিউদ্দিন আহমেদ, গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের পুরান বাউশিয়া গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা খাতুন গত ১জুলাই বুকে  ব্যাথা ও শ্বাস কষ্টজনিত রোগ নিয়ে এসেছিলেন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

হাসপাতালের বহি:বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক খন্দকার আরশাদ কবির আতিক এক্স-রে করানোর জন্য স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পাঠালেন হাসিনা খাতুনকে।

শুধু হাসিনা খাতুন একা নন হাসপাতালের রোগিরা জানান, তাদের মতো সব রোগিকেই এক্স-রে করাতে হচ্ছে বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি প্রায় নয় বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে তালাবন্দি কক্ষে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে এক্সরে মেশিনটি অচল থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা পেতে আসা রোগিরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বাড়তি টাকা খরচ করে বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে সেবা নিতে হচ্ছে তাদের। তিন লক্ষাধিক জনসাধারণ অর্ধুষিত গজারিয়া উপজেলা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত নয় বছরের মধ্যে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর প্রায় ছয় মাস যন্ত্রটি সচল ছিল। এক্স-রে যন্ত্রটি অচল থাকায় দায়িত্বরত রেডিও গ্রাফার আবদুর রাজ্জার অন্য সেকশনে দায়িত্ব পালন করেন।

আবদুর রাজ্জাক জানান, ২৫ বছরের পুরোনো জার্মানির তৈরি এক্সরে মেশিনটির খুচরা যন্ত্রাংশ বাজারে নেই।

কয়েক দফা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যন্ত্রটি সচল করার লিখিত আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাদ্দেক হোসেন। বলেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অকেজো যন্ত্রটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ডিজিটাল যন্ত্র স্থাপনের লিখিত আবেদন করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)