কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ জুলাই ২০১৮, ২০:৫২ | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০১৮, ২০:৪০

কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এসব নদীর অববাহিকায় ২৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার।

গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৩৫ ও দুধকুমারে ৩২, ধরলায় ৪৬ ও তিস্তায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। আর শুক্রবার বিকাল থেকে কুড়িগ্রাম ফেরিঘাট পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শুক্রবার বিকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে সদর উপজেলার হলোখানার সারোডোব এলাকায় মেরামত করা একটি বাঁধ ভেঙে ৪টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চর হলোখানা, চর সারোডাব, কাগজিপাড়া, বড়লই, চর জয়কুমার, কালুয়ারচর, চর বড়ভিটা গ্রামের অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে।

সারোডোবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ২টি স্থানে মেরামত করা বাঁধ ও একটি বাঁশের পাইলিং ভেঙে গেছে। গত দুই দিনে এ বাঁধ সংলগ্ন ১০টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই রাস্তা ও বাঁধে তাবু ও চালা টাঙিয়ে কোন মতে আশ্রয় নিয়ে আছে। দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজারহাট উপজেলার কালুয়ারচর এলাকায় মেরামত করা বাঁধটি ভেঙে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আরো জানান, রাতে তিনি নিজে থেকে বাঁধ রক্ষার কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে বাঁধটি আশঙ্কামুক্ত।

এই বাঁধটি ভেঙে গত বছরের বন্যায় কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। তিস্তার পানিতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫টি চর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় আমনের বীজতলা, ভুট্রা, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, জেলায় ৪২৮টি স্কুলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ আশ্রয় নেয়নি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবেলার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :