তিস্তায় পানি কমলেও থামেনি ভাঙন

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৮, ২১:৩০

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমলেও অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙন। এছাড়া লোকালয় থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো জেলার ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিস্তা ব্যারেজের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে,  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে পানি কমতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত তিস্তা সেচ প্রকল্প দোয়ানি ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তবে উঁচু স্থানগুলো থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার রাজপুর, খনিয়াগাছ, কুলাঘাট ও মোগলহাটসহ ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

এদিকে পানি কমলেও তিস্তার ভাঙন অব্যহত রয়েছে। বাস্তহারা মানুষগুলো বাঁধের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত এক সপ্তাহে জেলায় শতাধিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে জেলার আদিতমারী উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ১শ পরিবারের মাঝে নগদ ৫০০ টাকা ও ১০ কেজি জিআর চাল এবং পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ১০ কেজি হারে জিআর চাল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, পানিবন্দি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য মোট ৩৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে হাতীবান্ধা উপজেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন, আদিতমারী ১০ মেট্রিক টন ও সদর উপজেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন। প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)