তরিকুলকে নিয়ে ঢাকার পথে সহপাঠীরা

রিমন রহমান, রাজশাহী
| আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৪:৪০ | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০১৮, ১২:৪৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার হাতুড়িপেটায় আহত তরিকুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। রবিবার সকালে তরিকুলের সহপাঠীরা তাকে নিয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন।

গত সোমবার পিটুনির শিকার তরিকুলকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল রাজশাহী রয়্যালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ বাবুর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের হাতুড়ি সদৃশ বস্তুও আঘাতে তরিকুলের যান পায়ের দুটি হাড়ই বাজেভাবে ভেঙে গেছে। অস্ত্রোপচার ছাড়া এটি ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না চিকিৎসক।

তাছাড়া তরিকুলের মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙেছে কি না, রাজশাহীতে করা এক্সরেতে তা বোঝা যাচ্ছিল না। এ জন্য আরও উন্নত পরীক্ষার প্রয়োজন। সে জন্য তরিকুলকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

তরিকুলের ছোট বোন ফাতেমা খাতুন ঢাকাটাইমসকে জানান, সহপাঠীরা তার ভাইকে নিয়ে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন। আর তিনি গাইবান্ধায় নিজেদের বাড়ি রওনা হয়েছেন। তরিকুলের সহপাঠীরা তাকে ঢাকায় কোন হাসপাতালে ভর্তি করবেন তা তিনি এখনও জানেন না। ভর্তির পর বিকালের দিকে তিনি বিষয়টি জানাতে পারবেন।

গত ৩০ জুন ঢাকায় কোটা আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে পেটানো হয় ছাত্রলীগের জমায়েত থেকে। এর প্রতিবাদে ২ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। সে সময় হামলা করে ছাত্রলীগ আর তরিকুলকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ধরে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটানো হতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন হাতুড়ি দিয়ে পেটান তাকে।

হামলার পর পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরিকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে তার মাথায় ৯টি সেলাই পড়ে আর প্লাস্টার করে দেয়া হয় পা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তরিকুলকে রামেক হাসপাতাল থেকে ‘জোরপূর্বক’ ছুটি দেওয়া হয়।

তরিকুল সেদিন বলেছিলেন, তিনি সুস্থ নন। হাড় ভাঙা পুরো পায়ে প্লাস্টার থাকায় তিন-চারজন না ধরলে তিনি উঠে বসতেও পারেন না। সারা শরীরের ব্যাথার অসহ্য যন্ত্রণা।

কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়ায় উপায়ান্ত না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তরিকুলকে।

তরিকুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দরখোল উত্তরপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

এখন পর্যন্ত সংগঠনটির অন্য সদস্যরাই তরিকুলের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন। পাশে নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তরিকুলের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। আটকও হয়নি কেউ।

ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/আরআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :