খালাস চেয়ে খালেদার আপিল শুনানি সোমবার
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি একদিন পিছিয়ে ৯ জুলাই নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার দুপুর দুইটায় শুনানি হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ৩ জুলাই এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুলাই শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয় বিচারিত আদালত। এছাড়া রায়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়। সেদিন থেকেই খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এই দণ্ডের বিরুদ্ধে ১৯ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন খালেদা জিয়া। ২২ ফেব্রুয়ারি সেই আপিল গ্রহণ করা হয়। এরপর ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জন্য জামিন দেয়ার পাশাপাশি আপিল শুনানির জন্য এই সময়ের মধ্যে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।
হাইকোর্ট বেঞ্চ জানায়, পেপারবুক তৈরি হয়ে গেলে রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষ-যে কারও আবেদনে শুনানি শুরু হবে।
এরই মধ্যে এই পেপারবুক তৈরি হয়ে যায় এবং সেটি আপিল বিভাগে নিয়েও যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৬ মে খালেদা জিয়াকে এই মামলায় জামিন দেয়ার পাশাপাশি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিএনপি নেত্রীর আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/এমএবি/এমআর