কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুকসহ তিনজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৮, ১৫:১৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় করা নাশকতার দুই মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ পৃথক দুটি মামলায় তাদের দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড হওয়া অপর দুই আসামি হলেন, মো. মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন।

গত ৯ এপ্রিল ভোর চারটা থেকে বিকাল চারটার মধ্যে শাহবাগ থানাধীন টিএসসি মোড় থেকে দোয়েল চত্বর মোড়ে পুলিশের কাজে বাধা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও জনসাধারণের যানবাহন ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলা করা হয়। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে বিচারক তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. তরিকুল ইসলামের রিমান্ড আবেদন করা হলেও তার পরীক্ষা থাকায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

রিমান্ডে মঞ্জুর হওয়া আসামিদের মধ্যে মো. মশিউর রহমানকে ৩০ জুন এবং ফারুক, জসিম ও তরিকুলকে ২ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

একই মামলায় রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম নামে চার জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

এছাড়া কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন রিমান্ডে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানোসহ নাশকতা এবং পুলিশকে মারধর ও কর্তব্যকাজে বাধা দেয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই ভজন বিশ্বাস গত ১০ এপ্রিল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই ঘটনায় আরও দুটি মামলা করে পুলিশ। আর ঢাবি উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই।

ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/আরজে/এমআর