তাহিরপুরে জমজমাট নৌকার হাট

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ১২:২৮

আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)

বর্ষা মৌসুম শুরু হতে আর কিছুদিন বাকী। ঘোর বরষায় হাওড় অঞ্চলের একমাত্র বাহন ডিঙি নৌকা। এখনকার মানুষদের বাজার সদাই থেকে শুরু করে যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা। ক্রেতাদের চাহিদা আর বর্ষা মৌসুম উপলক্ষে তাহিরপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে নৌকার বাজার।

স্থানীয়রা জানায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাওর জনপদে নৌকার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাই বর্ষা মৌসুমে অনেকে এ পেশাকে কাজে লাগিয়ে নৌকা তৈরি করে বিক্রি করেন । আর শুধুমাত্র নৌকা বিক্রির জন্য অনেকদিন ধরে পরিচিত হয়ে আছে তাহিরপুরের কাউকান্দি বাজার।

উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ২৪৯টি গ্রামের লোকজন বর্ষা মৌসুমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য এখনও একমাত্র নৌকার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে তাহিরপুরে বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রামগঞ্জে নৌকা কেনাবেচার হিড়িক পড়ে।

বিভিন্ন গ্রামের লোকজন হাট বাজার স্কুল কলেজ, মাদরাসা ও উপজেলা সদরে আসা যাওয়ার জন্য নৌকা কিনে থাকেন। আবার অনেকে উন্মূক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নৌকা কেনেন।

এ বিপুল পরিমান নৌকার চাহিদা থেকে উপজেলার কাউকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে  জমে ওঠেছে নৌকার হাট। সপ্তাহে দুইদিন শনি ও মঙ্গলবার বসে নৌকার হাট।

তাহিরপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত ক্রেতা ছুটে আসেন এ হাটে নৌকা কিনতে।

মঙ্গলবার নৌকার হাটে গিয়ে জানা যায়, এবার হাটে নৌকার দাম খুবই কম। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় নৌকার দাম কম থাকায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত তারা। একটি নতুন কিলুয়া নৌকা বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

উপজেলার জামালড়গড় গ্রামের মৎসজীবী সবুজ মিয়া, রাজধরপুর গ্রামের হাদিসনূর, ইন্দ্রপুর গ্রামের সুশীল বর্মন বলেন, মাছ ধরতে গেলে এক-দুইডা নাও (নৌকা) লাগে, এজন্য তারা প্রতি বছর পুরনো নৌকা বিক্রি করে নতুন নৌকা কেনেন।

কাউকান্দি বাজারের ইজারাদার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় আশপাশের বাজারগুলোর চাইতে কাউকান্দি বাজারে ক্রেতাদের হাসিলের জমার টাকা কম নেয়া হয়, যার কারণে ক্রেতারা এ হাটে বেশী করে  ভিড় জমান।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)