ভোটের ফল মেনে নেয়ার অঙ্গীকার সিলেটের সাত প্রার্থীর

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ১৬:৪৬ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩৪

সিলেট ব্যুরা প্রধান, ঢাকাটাইমস

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগরী গড়তে কে কি করবেন তা তুলে ধরলেন  সাত মেয়র প্রার্থী। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনতার রায় মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন সবাই।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ আয়োজিত ‘জনগণের মুখোমুখি মেয়র প্রার্থীরা’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাত প্রার্থী নিজেদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।

সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাত প্রার্থী।

এ সময় ভোটে জিতলে কী কী করবেন, সে বিষয়ে অঙ্গীকারের পাশাপাশি পরাজিত হলে ফলাফল মেনে নেয়া এবং করপোরেশনের উন্নয়নে বিজয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা করাসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রত্যয় জানান সাত মেয়র প্রার্থী।

আগামী ৩০ জুলাইয়ের ভোটে এবার মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম (বাস), স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলনের মোয়াজ্জেম হোসেন (হাতপাখা), সিপিবি-বাসদের আবু জাফর (মই প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের (হরিণ প্রতীক)।

১০ জুলাই প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। আর দ্বিতীয় দিনই প্রার্থীরা এক মঞ্চে উঠলেন।
কামরান বলেন, ‘মেয়রের কাজ শুধুমাত্র সড়ক ও কালভার্ট উন্নয়ন নয়। একজন নাগরিক সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রাতে যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এটি নিশ্চিত করাও মেয়রের দায়িত্ব। আমি এই নগরবাসীর সুখে দুঃখে অতীতেও যেমন পাশে ছিলাম আগামীতেও থাকব।’

আরিফুল বলেন, ‘আমি কেবল স্বপ্ন দেখাই না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। আমি যা বলি তাই করি। এই নগরীতে ২০১০ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান হয়েছিল যা একেবারেই অবাস্তব ও অনুপযোগী। আগামীতে এটি সংশোধন করে আরো পরিকল্পিত উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব।’

বিএনপির বিদ্রোহী নেতা সেলিম বলেন, ‘সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্যবর্ধন করে পরিকল্পিত তিলোত্তমা নগরী গড়ে তুলতে আমি কাজ করব।’

জামায়াত জুবায়ের বলেন, ‘সিলেটকে দেশের একটি সুন্দরতম শহর হিসেবে দেখতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেব। নগরীর আয়তন বৃদ্ধিতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব। সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করব।’

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমি মেয়র হলে একটি করে ম্যাটার্নিটি সেন্টার ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করব। নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদন কেন্দ্রে চালু করব।’

আবু জাফর বলেন, ‘একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে কাজ করব। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সবুজ নগরী গড়ে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেব। গরিব ও মধ্যবিত্তদের বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটি কমিউনিটি সেন্টার গড়ে তুলব।’

এহসানুল হক তাহের বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখাই না, আমি বাস্তবতায় বিশ্বাস করি। মেয়র হলে আমি যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। নগরীর সব সংকট সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি