ক্ষমতায় ফিরলে নতুন মেগা প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৮, ২১:২১ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৮, ১৭:২৪

আগামী জাতীয় নির্বাচনে জিতে আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে নতুন নতুন মেগাপ্রকল্প নিয়ে আগাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তিনি কী কী করতে চান সেটি জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় আসলে সরকার কী কী মেগা প্রকল্প করবে-প্রশ্ন রাখেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। জবাবে প্রধানমন্ত্রী গভীর সমুদ্রবন্দর, বিমান বন্দর তৈরি, এশিয়ার হাইওয়ে, ট্রান্স এশিয়ার রেলওয়ের সঙ্গে সংযুক্তি হওয়াসহ পুরো টেনওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তুলে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার কথা জানান।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দুই মেয়াদে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেট চাল লেন, কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় বড় প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন মেয়াদে এলে দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেই পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এজন্য দক্ষিণে জায়গা খুঁজছি। সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো চর রয়েছে। সেগুলোর তথ্য নিচ্ছি।’

‘আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায়। আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামকে শহরে রূপান্তর করব। নাগরিক সুবিধা গ্রামের মানুষ সম্পূর্ণভাবে পাবে। সেইভাবে আমরা গ্রামকে তৈরি করব যাতে গ্রামের মানুষকে শহরে ছুটে আসতে না হয়।’

‘সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ক্ষেত্রসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারী উন্নয়নে সরকারের এই কার্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।’

উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতার ওপরও গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে পেরেছি। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক, তা আমরা চাই।’

‘খালেদা জিয়া নারী জাতির কলঙ্ক’

‘এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার কারণে’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নারী জাতির কলঙ্ক বলেও ‍উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘একজন নারী হওয়া সত্ত্বেও এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করার কথা তো কখনও চিন্তাও করা যায় না। সামান্য কয়টা টাকা এতিমরা পাবে। এই টাকা নিয়ে ১০ বছর মামলা চলল। এখন তিনি কারাগারে বন্দি। কোর্টের রায়ে এটা হয়েছে। ১০ বছর মামলা চালালেন বিএনপির জাদরেল আইনজীবী ও ব্যারিস্টার সাহেবরা। কেউ প্রমাণ করতে পারেননি তিনি নির্দোষ।’

‘উল্টো মামলার রায় বের হওয়ার আগে তারা দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজকে দলের নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দিলো। এর অর্থ তারা জানে খালেদা জিয়া অপরাধী এজন্য রায়ের আগেই এটা সংশোধন করেছে।’

‘এটা তো সব নারী জাতির জন্যই একটা কলঙ্ক। আমাদের নারী জাতির জন্য লজ্জার। কারণ, একজন নারী মানে একজন মা। একজন মা হয়ে এতিমের টাকা কী করে চুরি করে বা অপব্যবহার করে।’

খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পেছনে সরকারের হাত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো রাজনৈতিকভাবে তাকে অ্যারেস্ট করিনি। এটা করলেও তো ২০১৪ সালে করতে পারতাম, ২০১৫ সালে করতে পারতাম। সেটা তো করিনি।’

বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে ছয় হাজারের ওপর নির্বাচন হয়েছে কেউ তো কোনও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপির আমলের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা আমাদের মনে আছে। ২০০৬ সালে তারা যখন নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করেছিল, তখনও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে কতজনকে নির্বাচিত ঘোষণাও দিয়েছিল।’

তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৮ মে থেকে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলা হয়েছে। ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একহাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :