পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান হত্যায় একজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ২০:৫০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
খুন হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান

পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মরত ইন্সপেক্টর মো. মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রহমত উল্লাহর (৩৫) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. সাইফুজ্জামান হিরো এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান এ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক স্বীকার করেছেন যে, তার সহযোগী আসামি স্বপন, দিদার, মিজান, আতিক, শেখ হৃদয় ওরফে আপন ওরফে রবিউল, সুরাইয়া আক্তার কেয়া, মেহেরুন নেছা ঝর্ণা ওরফে আফরিন, ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ৮ জুলাই রাত আটটায় বনানী থানাধীন ২/৩ নং রোডস্থ, ৫নং বাড়ির, ২/এ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার রুমে ভিকটিম মো. মামুন ইমরান খানকে ফোন করে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করেন। পরে লাশ গুম করার জন্য বস্তাবন্দি করে গাড়িতে করে গাজীপুরেরে কালিয়াকৈর থানার উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাশের ঝোঁপের মধ্যে লাশ পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে আসে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত আসামিদের গ্রেপ্তার ও শনাক্তকরণ এবং হত্যার সঠিক রহস্য জানতে আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।   

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাঁশের ঝোঁপের মধ্যে লাশ পেট্রল দিয়ে পোড়ানো ইন্সপেক্টর মো. মামুন ইমরান খান লাশ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম খান গত ১০ জুলাই বনানী থানায় একটি মামলা করেন।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মামুন ইমরান খান (৩৪) ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইনটেলিজেন্স পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। ‘মামুন ইমরান খান ২০০৫ সালে পুলিশে যোগ দেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/আরজেড/জেবি)