ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক কোটা আন্দোলনকারীদের

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ২২:৪৫ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮, ২২:৪৯

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন এই আন্দোলনের নেতারা।

বুধবার রাতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, নারী নিপীড়ন, মামলা, রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতন বন্ধ, আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এই কর্মসূচি পালনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাসান আল মামুন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়া পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

হাসান আল মামুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টি বিভাগে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১টি বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলছে। আগামীকাল থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই কর্মসূচি পালিত হবে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে গত ২৭ জুন কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁনের এক ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে আক্রমণ হয় কোটা আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতার ওপর। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে হাতুড়িপেটাও করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

এরই মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন এবং কোটা বাতিল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠন করা হয় সাত সদস্যের কমিটি। গত রবিবার কমিটির প্রথম বৈঠকে কর্মকৌশল নির্ধারণ হয়েছে। এতে বিদেশে কোটা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত ও প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এনএইচএস/জেবি)