ধর্ষণ মামলা আপস করায় চেয়ারম্যান-মেম্বার কারাগারে

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ২১:৪৪

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামে একটি ধর্ষণ মামলা আপস করে দেয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল তোতাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার জেলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর আদালতে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করলে আদালতের হাকিম মো. আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি সামছুর রহমান টেপাগাড়ি গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে ধর্ষণ করার ফলে ওই নারী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে তাকে বিয়ের চাপ দিলে বিয়ে না করায় ওই নারী জেলা বগুড়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর আদালতে একটি মামলা করে। মামলা চলাকালে ওই নারী পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। বর্তমানে শিশুটির বয়স এক বছর। ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলে তিনি তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। তিনি তার চূড়ান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেন, রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপস মীমাংসা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে জেলা বগুড়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এর স্পেশাল পিপি অ্যাড. আশেকুর রহমান সুজন বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলী তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজির আবেদন করলে রবিবার শুনানি শেষে আদালত বাদীনির নারাজির আবেদন গ্রহণ করে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু ও সদস্য মোস্তফা কামাল তোতাকে দোষী সাব্যস্ত করে বাদীনির মামলায় তাদেরকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)