গণতন্ত্র না থাকলে বিএনপির ‘অশ্রাব্য গালি’ কেমনে: কাদের

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ২১:০৮ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮, ২১:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বিএনপি নেতারা কীভাবে ‘অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ’ করছেন তা জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, তারা বিরোধীদলে থেকে এই ভাষায় কথা বললে বিএনপি সরকার বাইরে থাকতে দিত না।

সোমবার বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে যুবলীগ আয়োজিত এক আলোচনায় এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের স্মরণে এই আলোচনায় অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন।

দেশে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা অগণতান্ত্রিকভাবে অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে গালিগালাজ করতে পারছে।’

‘বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকত, তাহলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য অগণতান্ত্রিক, অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে গালিগালাজ করতে পারতো না। এ সব অশ্রাব্য মিথ্যাচার করার পরও পল্টন অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করেনি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।’

‘তারা যেখানে ইচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও তারা বলছে দেশে গণতন্ত্র নাই।’

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে কী হতো, সেটিও উল্লেখ করে কাদের। বলেন, ‘টকশো গিয়ে তাদের নেতারা যে ভাষায় ব্যবহার করেন, এখানে আমরা বিরোধী দলে থাকলে টকশো করার পর তারা রাস্তায় আটকাতো। তবে আমরা তা পারি না। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছেন, তারপরও তারা বলছেন দেশে গণতন্ত্র নাই।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘আজকে আমার অনেক প্রশংসা করা হচ্ছে। এর মূ্ল্যায়ন হবে আগমী নির্বাচনে। যদি আওয়ামী লীগ না জিততে পারে তাহলে আজকের সকল প্রশংসা গালিতে পরিণত হবে।’

‘যারা আজ প্রশংসা করছে, তাঁরা তখন বলবে ব্যর্থ সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় নির্বাচনে জিতলেই কেবল সফল সাধারণ সম্পাদক হতে পারব।’

যুবলীগ নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘রাজনীতিতে লেগে থাকুন, পরিশ্রম করুন, দলের জন্য কষ্ট করুন, ত্যাগ করুন তা বৃথা যাবে না।’

‘শেখ হাসিনা যতদিন আছেন, ত্যাগী কর্মীদের ততদিন মূল্যায়ন আছে। কেউ দুই দিন আগে পাই, কেউ দুই দিন পরে পাই। এতে হতাশা কারো মধ্যে যেন না পায়।’

‘আমাকে দিয়েই চিন্তা করুন। জেল খেটেছি, ত্যাগ করেছি তার মূল্যায়ন তিনি (শেখ হাসিনা) করেছেন। শেখ হাসিনা না থাকলে আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হতাম কি না জানা নাই। শেখ হাসিনা থাকলে এ দলে মূল্যায়ন হবে।’

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতাদের কাদের বলেন, ‘সব জনমত জরিপ শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি নির্বাচনের জেতার মতো যোগ্যতা অর্জন করলে বঞ্চিত হবেন না।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আমজাদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, যুব নেতা কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/টিএ/ডব্লিউবি