মেয়র খোকন বিদেশে, ঢাকা দক্ষিণের ‘দায়িত্বে’ বাবুল

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০৮:০০

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস

প্রায় ১০ দিনের সফরে দেশের বাইরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। দেশে ফেরার কথা ১৯ জুলাই। এই সময়ে নগরভবন সামলাচ্ছেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল।

মেয়র খোকন দেশের বাইরে গেছেন গত ৮ জুলাই। তবে বাবুল দায়িত্ব নেন আরও দুই দিন আগে।  

বাবুল নিজেও মেয়র খোকনের মতোই আওয়ামী লীগের রাজনীতি জড়িত। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বকে জীবনের একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন তিনি। বলেন, ‘এটাআমার বিরাট অর্জন। জীবনে এটি একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে।’

বাবুল জানান, ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার পর তিনি সোয়ারী ঘাট থেকে চকবাজার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মেরামত, পরিচ্ছন্ন অভিযান, নালা পরিষ্কার, মশা নিধন কার্যক্রম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কাজ করেছেন।

‘ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা মেয়রের রুটিন কাজ করছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। মেয়র দেশে ফিরলে তার সামনে সেটি উপস্থাপন করব।’

ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মহোদয় (সাঈদ খোকন) উন্নয়নের বিষয়ে খবুই আন্তরিক। এরপরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো নিতে দেরি হয়। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উপক্রম হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে তিনি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন। ডিএসসিসির এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে গত তিন বছরে নগরের বেশ উন্নয়ন করেছেন। একটা জায়গায় তিনি এনে দাঁড় করিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে।’

নিজের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে রাস্তা উন্নয়নে তিন বছরে পৌনে চার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আরও সাড়ে তিন কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ ও বশিরউদ্দিন পার্ক হচ্ছে।’

‘নিজের ওয়ার্ডে এখনো চামড়ার গুদাম রয়েছে। চামড়া গুদাম গুলো স্থানান্তর করতে আরও ৪-৫ বছর সময় লাগবে।’

‘২৯ নাম্বর ওয়ার্ডের ইসলামবাগে মাওলার টেক খরমের টেক নামে একটি জায়গা ছিল সেখানে বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ ছিল। বর্তমানে সেটি গুলশানের মতো হয়েছে। রাস্তা ও স্যুয়ারেজ লাইন হয়েছে। সেখানকার বাড়ি-ঘর হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় চলে এসেছে।’

‘এরপরও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেটি দূর করতে কিছু প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এসব প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এমএম/ডব্লিউবি)