আইএসের নেতৃত্বে যাওয়া বাংলাদেশি সুজনকে নিয়ে যা জানল বিবিসি

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জঙ্গি সংগঠন আইএসের শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন সাইফুল সুজন নামে এক বাংলাদেশি। তিনি ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাক্কায় নিহত হন। এই সুজনের জঙ্গি তৎপরতায় জড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে কম্পিউটার সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার থেকে সুজন কীভাবে আইএসের শীর্ষ নেতৃত্বে চলে এসেছিলেন, সেটি প্রকাশ হয়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন এক ঘোষণায় বলেছিলেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় এক অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর প্রায় ১০ জন ঊর্ধ্বতন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এদের একজন ছিলেন সুজন।

সাইফুল সুজন সম্পর্কে স্টিভ ওয়ারেন বলেন, ‘সুজন একজন বহির্দেশীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনাকারী ছিলেন, এবং ব্রিটেনে কম্পিউটার সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।’

আইএসের হ্যাকিং কার্যক্রম, নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তি, এবং অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে একজন মূল ব্যক্তি ছিলেন এই বাংলাদেশি।

সুজন মারা যাওয়াতে আইএস আর নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যেকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ নষ্ট হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করে বিবিসি।

সুজনের মৃত্যুর পর কয়েক মাস ধরে এবং তিনটি মহাদেশে এক ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছে বিবিসি ওয়েলস। তারা জানতে পারে, সুজন নিহত হবার পরও তার নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন করে চলেছে।

বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেন যাত্রা ২০০০ সালে

সুজন বাংলাদেশ থেকে ২০০০ সালে ব্রিটেনে আসেন। কার্ডিফের উত্তরে পন্টিপ্রিডে সাবেক গ্ল্যামরগ্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেন।

সুজন আইব্যাকস নামে একটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি গড়ে তোলেন যার আড়ালে আইসিসের কাছে অর্থ পাচার করা হতো।

কয়েক বছরে মধ্যেই সুজনের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়ে যায়। তিনি আইব্যাকস নামে আইটি কোম্পানি খোলেন, ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সে যোগ দেন, অন্য ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বাংলাদেশ সফরও করেন।

এক পর্যায়ে সুজনের ভাই আতাউল হকও ওয়েলসে চলে আসেন এবং দুজনে মিলে তাদের ব্যবসা চালাতে থাকেন। তাদের কোম্পানিটি মূলত এশিয়ান খাবার দোকানগুলোর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করতো, বিভিন্ন দক্ষিণ এশীয় রেস্তোরাঁর জন্য বিল পরিশোধ করার মেশিন চীন থেকে আমদানি করে সরবরাহ করত। তাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আরেকজন - যার নাম আবদুল সামাদ।

আবদুল সামাদও বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান। তার জন্ম এবং লেখাপড়া ওয়েলসেই। তিনিও ছিলেন একজন স্থানীয় কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।

এটা এমন এক সময় যখন ব্রিটেনের অন্য অনেক শহরের মতো কার্ডিফেও উগ্রপন্থায় দীক্ষিত মুসলিম তরুণদের নিয়ে এক সমস্যা তৈরি হয়। এরা ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা পরিবারের সন্তান। তরা বৈশ্বিক 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং ইসলামিক স্টেটের বক্তব্যে আকৃষ্ট হচ্ছিলেন।

কার্ডিফের বাংলাদেশি কমিউনিটির চোখে সুজন ধর্মীয় দিক থেকে তেমন রক্ষণশীল ছিলেন না, তার কথাবার্তাতেও জিহাদি-সমর্থক ইসলামী প্রচারকদের মত কোন কিছু শোনা যায়নি।

তবে এক পর্যায়ে সুজনের চেহারায় কিছু পরিবর্তন এলো, একজন ধার্মিক বাংলাদেশি মুসলিমের ঐতিহ্যবাহী দাড়িওয়ালা চেহারা নিতে দেখা যায়।

দুই ভাই সুজন এবং আতাউল বিয়ে করেছিলেন দুই যমজ বোনকে। তাদেরকে তারা ব্রিটেনে নিয়েও এসেছিলেন। তবে ২০১২ সালে সুজনের ভাইয়ের স্ত্রী মারা যাবার পর তার জীবনের গতিপথ বদলে যায়। উচ্চাভিলাষী পশ্চিমা ব্যবসায়ী থেকে পরিণত হন উগ্র-ইসলামপন্থীদের সমর্থক অর্থদাতা এবং যন্ত্র-সামগ্রী সরবরাহকারীতে।

যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গিদের অর্খ সহায়তা পাঠানো

কোথায় এবং কীভাবে আইএস নেতা হিসেবে সুজনের কর্মকাণ্ড প্রথম ধরা পড়েছিল - তা জানতে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে যান বিবিসি ওয়েলসের সংবাদদাতা ওয়াইর ডেভিস।

যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে গড়ে ওঠা জঙ্গি তৎপরতার ওপরও অনেক দিন ধরেই তদন্তকারীদের নজর ছিল। এদের অনেকে জিহাদে যোগ দিতে মধ্যপ্রাচ্যে গেছে, অনেকে ফোর্ট হুড হত্যা বা বোস্টন ম্যারাথনে বোমা হামলার মতো ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতেই ঘটিয়েছে। কিন্তু এফবিআই এবং অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কার্যকর নজরদারির কারণে সন্ত্রাসী আক্রমণে সরাসরি বিদেশি অর্থায়ন হতে পারেনি।

তবে ২০১৫ সালে একটা ঘটনা ঘটল- যা অন্য রকম। বাড়ি বাড়ি সংবাদপত্র পৌঁছে দেন- এমন একজন লোকের ওপর এফবিআইয়ের নজর পড়ল।

বাল্টিমোরের বাসিন্দা মোহামেদ এলশিনাবির কাছে নিয়মিতভাবেই ছোট অংকের অর্থ আসতো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রাম হয়ে; এক হাজার বা পাঁচশ ডলার, এরকম অংকের। কিন্তু ২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালে একবার পাঠানো হলো আট হাজার ডলার।

অক্টোবর মাস নাগাদ ফেডারেল এজেন্টরা পদক্ষেপ নিলেন। তারা এলশিনাবির বাড়ি তল্লাশি করলেন এবং সেখানে তারা পেলেন সুজনের কার্ডিফ-ভিত্তিক কোম্পানির সাথে যোগাযোগের প্রমাণ।

কিছুদিনের মধ্যেই তারা আরো বের করলেন, এই অর্থ আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালানোর জন্য। শুধু অর্থ নয়, কীভাবে আক্রমণ চালাতে হবে তার পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনাও পাঠানো হচ্ছিল- ওয়েলসের আইব্যাকস অ্যাকাউন্ট থেকে।

এলশিনাবিকে সুজন কমপক্ষে ১৬টি ভিডিও পাঠিয়েছে যাতে কীভাবে বোমা বানাতে হয় তার নির্দেশনা রয়েছে। এফবিআই-এর তদন্তকারী কর্মকর্তারাও দেখেছেন যে যেসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যেতে পারে এরকম কিছু স্থাপনা এলশিনাবি গবেষণা করে দেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে বাল্টিমোরে ফেডারেল কোর্টের ভবনও।

তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে সেসব দেখে মোহাম্মদ এলশিনাবি তার বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসবাদের কয়েকটি অভিযোগ সে স্বীকার করেছে। এবছরের শুরুর দিকে আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

এফবিআই-এর কাগজপত্রে দুটো নাম ঘুরে ফিরে এসেছে- আতাউল হক এবং সুজনের ভাই আব্দুল সামাদ।

এফবিআই বলছে, তাদের তথ্যপ্রমাণে দেখা গেছে সামাদ আইএসকে সমর্থন করতেন এবং সুজনের নির্দেশে তিনি আমেরিকায় এলশিনাবির কাছে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ পাঠিয়েছিলেন। আরো দেখা গেছে যে, সামাদ আইএসের জন্যে কারিগরি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করতেন।

সিরিয়া-ইরাকে ড্রোনের যন্ত্রপাতি পাঠান সুজন

সামরিক ধরনের নজরদারি যন্ত্রপাতি এবং ড্রোনের বিভিন্ন অংশ সংগ্রহের ব্যাপারেও সুজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিল। এগুলো তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের কাছে পাঠানো হতো।

এফবিআই-এর কাগজপত্রে এই একটি উদাহরণে দেখা যায়, উত্তর আমেরিকার সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ডলার অর্থমূল্যের নজরদারি যন্ত্রপাতি সংগ্রহে সামাদ সরাসরি যুক্ত ছিল। এসব করা হয়েছে সুজনের অনুরোধে। পরে সেগুলো পাঠানো হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

অর্থ ও যন্ত্রপাতি প্রেরণের সাথে সামাদের সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে গিয়ে কর্মকর্তারা বিভিন্ন জনের সাথে তার যোগাযোগের গভীরে চলে যান। সামাজিক মাধ্যমেও তার ইতিহাসও খতিয়ে দেখেন।

আমেরিকায় সামরিক বিশ্লেষক পিটার সিঙ্গার বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা আরো বেশি ড্রোন ব্যবহার করবে শুধু একারণে নয় যে তারা ইরাক অথবা সিরিয়াতে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তারা আরো বেশি ড্রোন ব্যবহার করবে কারণ এই প্রযুক্তি দিনে দিনে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।’

স্পেনের পুলিশ দাবি করেছে, সুজনেরও আগে তার ভাই হক আইসিসের প্রভাব বলয় বাড়াতে তৎপর ছিল।

অর্থ আর ড্রোন এসেছে বাংলাদেশেও

‘তুরস্কে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি পাঠানোর ব্যবস্থা সে-ই করেছিল। বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের কাছেও পাঠিয়েছিল হাজার হাজার ডলার’- বলেছেন মাদ্রিদের একজন পুলিশ অফিসার।

‘আমাদের হিসাব হচ্ছে আতাউল (সুজনে ভাই) ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে মোট ৫০ হাজার ডলার পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশে আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন এসব অর্থ প্রেরণের লক্ষ্য ছিল সেখানে হামলা চালানো।’

বাংলাদেশে সরকার অবশ্য আইএসের উপস্থিতির কথা মানতে রাজি নয়। যদিও দেশটিতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং বহু সংখ্যক বাংলাদেশি জিহাদি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে ইরাক ও সিরিয়াতে চলে গেছে।

বাংলাদেশি সাংবাদিক তাসনিম খলিল মনে করেন, বাংলাদেশে আইএসের প্রভাব বৃদ্ধির ব্যাপারে সুজন এবং তার নেটওয়ার্কের বড় রকমের ভূমিকা আছে।

বিবিসিকে তাসনিম জানান, সুজন ও তার ভাইয়ের প্রভাব নিয়ে বহু বছর ধরে রিপোর্টিং করছেন তিনি। এ ধরনের কিছু কাজের জন্যে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ তাকে নির্যাতন করেছে এবং সেকারণে তিনি সুইডেনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।

‘সারাবিশ্বে আইএসের অর্থায়নের পেছনে একটা বড় ভূমিকা আছে সাইফুল সুজনের। তিনি বাংলাদেশে আইসিসের প্রাথমিক কিছু তৎপরতা পরিচালনা করেন। সেখান থেকে কিছু তরুণ সংগ্রহ করে তাদেরকে সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেন’- বলেন তাসনিম।

বাংলাদেশ থেকে আইএসের জন্য সদস্য সংগ্রহ সুজনের

তানসিম খলিলের ধারণা, সুজনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, প্রাথমিকভাবে কার্ডিফের কোম্পানি এবং পরে বাংলাদেশে তাদের কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৫০ জন জিহাদিকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের অর্ধেক ইরাক অথবা সিরিয়াতে চলে গেছে। আর বাকিরা সম্ভবত বাংলাদেশের ভেতরেই হামলা চালিয়েছে।

সুজনের মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পর স্পেন ও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় তারা তার প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক, যা এখনও সক্রিয় আছে, সেটি ভেঙে দিতে কাজ করবে।

দক্ষিণ স্পেনের মেরিদা শহর থেকে সুজনের সঙ্গী আতাউল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সাথে চালানো অভিযানে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বাংলাদেশেও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্পেনের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কোন সন্দেহ নেই যে হক এবং তার ভাই সুজন তারা দুজনেই খুব বিপজ্জনক ব্যক্তি।

"যারা প্রকাশ্যে হামলার হুমকি দেয়, তাদের চাইতেও তারা ভয়ঙ্কর। ওদেরকে সহজে মোকাবেলা করা যায় কিন্তু চারটি দেশের একসাথে হয়ে এই দুই ভাই-এর নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে ছয় বছর সময় লেগেছে’ বলেন একজন কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এসব অর্থ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীরা এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে, যাতে তারা দেশে বিদেশে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্যে নতুন নতুন জিহাদি সংগ্রহ করতে না পারে।

আতাউল হক আছেন স্পেনের জেলে। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে এখন সন্ত্রাসমূলক অপরাধের অভিযোগ আনা হতে পারে, যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আবদুল সামাদও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সবশেষে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেবিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। অভিযোগ হচ্ছে, তিনি আতাউল হকের জন্যে ওয়েলসে নতুন একটি কোম্পানি তৈরি করেছেন। এই কোম্পানির নাম ইজিনটেল। এই একই নামে স্পেনেও একটি কোম্পানি আছে। স্পেনের পুলিশ বলছে, আইএসের অর্থায়নে এই কোম্পানির বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে।

সুজনের গড়ে তোলা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক হয়তো শেষ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পর এখনও এটা বলা সম্ভব নয় যে সন্ত্রাসী হামলার জন্যে জিহাদিদের অর্থায়ন বন্ধ করা কতোটা সম্ভব হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/ডিএম/ডব্লিউবি