আকর্ষণীয় কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৪:৫৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শুধু সৌন্দর্য নয়, আচরণ এবং ব্যক্তিত্বও মানুষের চেহারায় ফুটিয়ে তোলে আকর্ষণের ছাপ৷ নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান জায়গা করে নিচ্ছেন বিশ্ববাসীর মনে৷ এমন কয়েকজনকে নিয়েই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে। দেখে নিন কারা স্থান পেয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।

কোলিন্দা গ্রাবার-কিটারোভিচ

বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্যালারিতে সবার নজর কেড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ ২০১৫ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন৷ তবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কাজ করেছেন ইউরোপ বিষয়কমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে৷ ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে ক্রোয়েশিয়ার দূত ছিলেন কোলিন্দা৷

ভ্লাদিমির পুতিন

১৯ বছর ধরে কখনও সরকারপ্রধান, কখনও রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই রুশ গোয়েন্দা৷ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, ২০০০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি, ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আবার প্রধানমন্ত্রী এবং এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুতিন৷ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া যে অবস্থান খুইয়েছিল, তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছেন পুতিন৷

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ৷ ২০১৭ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি৷ তরুণ রাজনীতিবিদ হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিতে তার ভূমিকা প্রশংসা পেয়েছে৷ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের খেলা চলাকালীন সময়ে ভিআইপি গ্যালারিতে মাক্রোঁর উত্তেজনা নজর কেড়েছে অনেকের৷

জাস্টিন ট্রুডো

৪৪ বছর বয়সে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে সাড়া ফেলেছিলেন ট্রুডো৷ সুদর্শন এই তরুণের মন্ত্রিসভাকে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় মন্ত্রিসভা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়৷ তার মন্ত্রিসভায় আদিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের কানাডিয়ান পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷ এছাড়াও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে তার প্রগতিশীল চিন্তাভাবনাও তাকে তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে৷

জিগমে খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের অলিখিত খেতাবপ্রাপ্ত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগয়াল ওয়াংচুক৷ ২০০৬ সাল থেকে তিনি প্রজাদের দেখভালের দায়িত্বে আছেন৷ নিজে রাজা হয়েও ভুটানকে গণতন্ত্রের পথে আনতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন জিগমে খেসার৷ সংবিধান রচনার পুরো প্রক্রিয়া নিজে তত্ত্বাবধান করে সেটা জনগণের সাথে আলোচনাও করেন তিনি৷ ভুটানের তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই রাজা৷

বরুট পাহো

২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর ২০১২ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পাহো৷ অনেকটা আনুষ্ঠানিক পদ হলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাহো বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে চলেছেন৷ ইউক্রেন সংকট নিরসন এবং ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে তার আন্তরিক চেষ্টা ইউরোপের রাজনীতিতে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷

এনরিকে পেনিয়া নিয়েটো

সুদর্শন এই মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ২০১২ সাল থেকে আছেন দায়িত্বে৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙা, জ্বালানি খাত আধুনিকায়ন, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অর্থায়নসহ নানা উদ্যোগে মেক্সিকোর তরুণদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা৷

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/একে/জেবি)