শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, সৎ বাবার ফাঁসি

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৬

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাটের শরণখোলায় নয় বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আল আমিন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত একই সাথে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

বুধবার বিকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।

দণ্ডিত আল আমিন শিশু মায়ার সৎ বাবা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আল আমিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আল আমিন হাওলাদার বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে।

হত্যার শিকার মায়া শরণখোলা উপজেলার সদরের রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার নথির বরাত দিয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌশুলী (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ২০১৬ সালে শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড়া গ্রামের আল আমিনের সাথে মায়ার মা পুতুল বেগমের বিয়ে হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর সকালে আল আমিন তার স্ত্রী পুতুল বেগমকে ফোন করে মুরগি নিতে মেয়েকে বাজারে পাঠাতে বলে। স্বামীর ফোন পেয়ে তিনি একটি ভ্যানে করে মেয়েকে বাজারে তার স্বামীর কাছে পাঠান। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজন পুলিশে জানায়।

শরণখোলা থানা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে শিশু মায়ার সৎ বাবা আল আমিনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন মঠেরপাড়া গ্রামের জনৈক লিটু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর নিহতের নানা কামরুল হাসান দুলাল বাদী হলে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. আমির হোসেন সৎ বাবা আল আমিনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক তেরোজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান পিকলু।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)