রাজশাহীতে বড় ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪৪

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় আকারের ব্যানার-ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। কেউ কম, কেউ বেশি; কিন্তু প্রায় সব প্রার্থীই এমন ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে নিজের প্রতীকের প্রচার চালাচ্ছেন। তবে এসব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছে।

এ নিয়ে প্রার্থীদের ২৪ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে প্রচার শুরুর আট দিন পর ইসির এমন নির্দেশ ভালোভাবে নিচ্ছেন না অনেক প্রার্থী। তারা বলছেন, কোনো কোনো প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে নগরীকে ভরে ফেলেন। ইতিমধ্যে তাদের প্রচার হয়ে গেছে। শুরুতেই এ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া রহস্যজনক।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সব প্রার্থীকে নিয়ে বুধবার সকালে মতবিনিময় সভা করেন ইসি শাহাদত হোসেন চৌধুরী। সে সভায় উপস্থিত হলে কমিশনের পক্ষ থেকে এসব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নেয়ার চিঠিটি প্রার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষর করেছেন মঙ্গলবার।

ওই চিঠিতে বলা হয়, অধিকাংশ মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যানার-ফেস্টুন সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ অনুযায়ী নির্ধারিত মাপ ৬০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪৫ সেন্টিমিটার প্রস্থের চেয়ে বড়। এসব ব্যানার-ফেস্টুন ইসি শাহাদত হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এগুলো আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে না নেয়া হলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত আকারের চেয়ে বড় ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহার একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া এ ধরনের অপরাধের কারণে ইসি কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে।

ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের এমন নির্দেশনা নিয়ে জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ বলেন, প্রতীক বরাদ্দের দিনই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর এসব অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে পুরো নগরীকে দখল করে নেয়া হয়। এতো দিনে তার প্রচার হয়েই গেছে। ইসি এতোদিন কেন নিশ্চুপ ছিল তা এক বড় প্রশ্ন। ইসির এ ধরনের আচরণ নির্বাচনের লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/আরআর/এলএ)