এখন থেকে ইসরায়েল ‘ইহুদি জাতি রাষ্ট্র’

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৪:৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিতর্কিত 'ইহুদি জাতি রাষ্ট্র' আইন পাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যে দখলীকৃত দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট। এই আইনের ফলে বিশ্বের সকল ইহুদি ইসরাইলে আত্ম-পরিচয় নির্ধারণের অধিকার পাবেন এবং বিনা বাধায় বসতি স্থাপন করতে পারবেন। এছাড়া আইনটির সরকারী ভাষা হিসেবে আরবি ভাষাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে এই আইনটি পাশ হয়। পার্লামেন্টে এই আইনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬২টি আর বিপক্ষে ৫৫টি। ভোটদানে বিরত ছিলেন দুই সদস্য।

এই দিনকে বিশ্বের ইহুদিদের আত্ম-পরিচয় নির্ধারণের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানেয়াহু। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

আর এই আইনটির ফলে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনের আইনপ্রণেতারা। ইসরায়েলের পার্লামেন্টে সংখ্যালঘু ফিলিস্তিনি সদস্যরা এই আইনটিকে জাতি-বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভোটের পরে বেশ কয়েকজন আরব আইনপ্রণেতা চিৎকার করে প্রতিবাদ জানান এবং সংশ্লিষ্ট কাগজ ছিড়ে ফেলেন।

আইনে বলা হয়েছে, অখণ্ড জেরুজালেম ইসরায়েলের অংশ ও রাজধানী। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইহুদিদের মাতৃভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর ঐতিহাসিকভাবেই তারা এখানে নিজের অস্থিত্বের দাবি করতে পারে।

দেশটির সরকারী ভাষা থেকে আরবীকে বাদ দিয়ে সেটিকে বিশেষ হিসেবে রাখা হয়েছে। যার ফলে সরকারি ভাষা না হলেও আরবীতে কাজকর্ম করা যাবে ইসরায়েলে।

নতুন এই আইন অনুসারে ইসরায়েলে নির্বিঘ্নে বসতি গড়তে পারবে বিশ্বের যে কোনও ইহুদি। আর ইসরায়েল এর জন্য ইহুদিদের উৎসাহ দেবে।

ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৮ লাখ। ৯০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। অনেক আগে থেকেই এসব ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখে ইসরায়েল। নতুন এই আইনের ফলে তাদের প্রতি অবজ্ঞা আরও বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/একে/ডিএম