সাত বছরের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফল

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩৯

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে  এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত সাত বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন ফল হয়েছে। বোর্ডে এবার পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, ইংরেজি ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা খারাপ করেছেন। তাই প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।

গেল বছর রাজশাহীতে পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ। তার আগের বছর ২০১৬ সালে ৭৫ দশমিক ৪০, ২০১৫ সালে  ৭৭ দশমিক ৫৪, ২০১৪ সালে ৭৮ দশমিক ৫৫, ২০১৩ সালে ৭৭ দশমিক ৬৯ এবং ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনারুল হক প্রামানিক সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৬ জন। সাত বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

এ বছর মোট ৯২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। বরাবরের মতো এবারও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা। তবে জিপিএ ফাইভ পাওয়ায় বরাবরের মতো এগিয়ে ছেলেরা।

এবার মেয়েদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৬১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, এ বছর মোট জিপিএ ফাইভ  পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৩৮ জন। এদের মধ্যে ২ হাজার ২৩৪ জন ছেলে এবং ১ হাজার ৯০৪ জন মেয়ে।

রাজশাহী বোর্ডে ২০১২ সাল থেকেই পাসের হারে মেয়ে এবং জিপিএ ফাইভ অর্জনে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছেন।

সাত বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষার্থী এক বিষয়ে ফেল করেছেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এর হার ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। বোর্ডের ৬টি কলেজ থেকে এবার কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করেননি। আর ১৯টি কলেজে পাস করেছেন শতভাগ পরীক্ষার্থী।

এ বছর মোট ৭৫৬টি কলেজের পরীক্ষার্থী রাজশাহী বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৯৮টি। বোর্ডের খারাপ ফল নিয়ে শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনারুল হক প্রামানিক বলেন, এবার ইংরেজি ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা খারাপ করেছেন। খাতার মূল্যায়নেও সর্বোচ্চ কড়াকড়ি ছিল। এ কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে। আগামীতে ভাল ফলাফল করতে তারা চেষ্টা করবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/আরআর/ওআর)