নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪৮

ফয়সাল আহমেদ, শ্রীপুর (গাজীপুর)

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নন্দিত কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সমাধি গাজীপুরের পিরুজালী এলাকার নুহাশ পল্লীতে কবর জেয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরাআনখানি, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিনিত, নিষাদ, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া হিমু পরিবহন, চেতনায় হুমায়ূন হৃদয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে প্রকাশনার এলাকা বাংলাবাজার, বাংলা একাডেমির চত্বর এমন উল্লেখযোগ্য স্থানে হুমায়ূন আহমেদের নামে একটি চত্বর হবে এরকম স্বপ্ন আমরা দেখি। এটি বাস্তবে হলেও দেখব, না হলেও দেখব।

তাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর নুহাশ পল্লী চত্বরে পবিত্র কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। ভক্ত-অনুরাগী ছাড়াও আশপাশের মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের হাতেগড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠেও অনুরূপ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এদিন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ ঢাকায় এনে ২৪ জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তার প্রিয় নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)