‘নির্বাচন আরও অর্থহীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে’

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ১৭:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সুষ্ঠু নির্বাচনের সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান। বলেছেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি, আগামী নির্বাচন আরও বেশি অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায় কি না। এর সঙ্গে এই শঙ্কাও আছে, আগামী ইলেকশন করা সম্ভব হয় কি না? কেননা, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইলেকশনের প্রত্যেকটা পথই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

শুক্রবার মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী।

অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান দেশে নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। যদিও বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মাঝে অনীহার রাজনীতি বিরাজ করছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। এটা ভয়বাহ বাস্তবতাও বটে!

‘এই সমস্যার উত্তোরণের জন্য কেউ ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত রাজনৈতিক দল এবং তার নেত্রীকে হঠাৎ করেই আগে থেকে কোনো ধারণা না দিয়েই বহু আগের একটা মামলায় দণ্ড দেয়া হলো। তিনি এখন কারাগারে আছেন। আমরা কয়েক মাস ধরে ভাবছি, খুব শিগগিরই এর নিষ্পত্তি হবে।’

আন্তর্জাতিক এই বিশ্লেষক বলেন, ‘অনেকেই এটা বলছিল যে, এখানে জামিন পাওয়াটা একটু সময়ের ব্যাপার। এটা জামিনযোগ্য বিষয়ও বটে! এটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বেশ সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে। তারা এটা দেখতে পাচ্ছে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য এটা আঘাত। খুবই বাজে রকমভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার মতোই।’

সঞ্চালক বলেন, সরকারি দল দাবি করছে, তাদের এখানে কোনো হাত নেই, এটা আদালতের ব্যাপার। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এম শাহীদুজ্জামান বলেন, ‘আদালতের ব্যাপার যদি হয়েই থাকে তবে আদালত অদ্ভুত আচরণ করছে কেন? আমরা তো অতীতে দেখেছি, আদালত এই ধরনের মামলায় জামিনযোগ্য হিসেবে দেখেছে। আমরা যদি আশেপাশের দেশগুলোর দিকে তাকাই, দেখা যাবে তারা কিন্তু অনেক চিন্তা-ভাবনা, অনেক রকমের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই ধরনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে।’

অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামানের ভাষ্য, ‘এটা এখন নিশ্চিত যে, আগামী ইলেকশনের আগে প্রধান একটি দলের সভানেত্রীর জেল থেকে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। কেননা, তার যে প্রধান উকিল তিনি বলেই দিয়েছেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আইনের পথে তাকে বের করে আনা সম্ভব না। অথচ সরকার এটা স্বীকার করতে চায় না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতেও। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের বড় সমস্যা রোহিঙ্গা সমস্যা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এই সমস্যাটাকে জিঁইয়ে রাখছে। তারা চাচ্ছে না রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঝুঁকি নিতে।’

(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/এজেড/জেবি)