কর্ণফুলীতে ‘তেল চুরি’, সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:১৯ | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:১০

‘কর্ণফুলীতে তেল চুরির অবাধ রাজত্ব যার’ শিরোনামে গত ৯ জুলাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে আব্দুল শুক্কুর। ঢাকাটাইমসে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনজীবী চৌধুরী আহমেদ মহসিনের মারফত আব্দুল শুক্কুর একটি প্রতিবাদলিপি পাঠান, যেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে তাকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে, তা মানহানিকর ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছে।

৯ জুলাই ঢাকাটাইমসে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারি পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ বহু কোম্পানির হাজার হাজার লিটার তেল চুরি হচ্ছে। আর এই চুরির প্রধান হোতা হিসেবে নাম উঠে আসছে কর্ণফুলী জুলধা ইউনিয়নের ৭ নং পাইপের গোড়া এলাকার আব্দুস শুক্কুরের নাম।’

ঢাকাটাইমসে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আব্দুল শুক্কুর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যথাযথভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত একজন স্বনামধন্য তৈল ব্যবসায়ী। তিনি নিয়মিতভাবে সরকারকে কর দিয়ে আসছেন। তার ব্যবসায়ীক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগসাজস করে তার সার্বিক ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে উপরোক্ত মিথ্যা, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদটিতে মিথ্যা বা অসত্য বলে কোনো তথ্য নেই। নেই প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য। যেসব তথ্য প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

ঢাকাটাইমসের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাট ও ডিপোতে অনুসন্ধানে চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য ‘সোর্স’ এবং ভুক্তিভোগীদের বক্তব্য নিয়েছেন।

প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ‘শুক্কুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় রয়েছে বহু মামলা, অভিযোগ ও জিডি। চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা সিআর ৪৪/১৭, বন্দর থানার জিআর মামলা নং ২১৫৫/৯৬, পটিয়া থানায় ০১/৯৬, কর্ণফুলী থানার জিআর মামলা নং ১০/২০০২, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ১২২/আদেশ নং ১৫ ,কর্ণফুলী থানার মামলা নং ০১/২০০৯ ,বন্দর থানা মামলা নং ২২/৯৬।

এ ছাড়া হত্যা ও হুমকির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে ১৮ ডিসেম্বর করা কর্ণফুলি থানায় পিপিআর নং ১৬২৭, জিডি ও অভিযোগ ২২/৯৬, ১৭৮১/১৬, পতেঙ্গা থানার পিপিআর নং ২১৯৩, ২০১৭ সালের ৯ মার্চ পিপিআর নং ৩৬০/১৭। তার আপন ভাইও ২০১৬ সালে শুক্কুরের বিরুদ্ধে জিডি করেন কর্ণফুলী থানায়, পিপিআর নং ১৭৮১।

এমনকি প্রকাশিত প্রতিবেদনে আব্দুস শুক্কুর প্রতিবেদকের সঙ্গে কথাও বলেন। সেখানে আব্দুল শুক্কুর দাবি করেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জায়গা-জমি নিয়ে আমার ভাইদের সাথে মামলা-মোকদ্দমা হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এসব করছে। আমার লাইসেন্স আছে। আমি একজন তেল ব্যবসায়ী।’

এই প্রতিবেদনটি তৈরি করতে প্রতিবেদক কর্ণফুলী জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) সৈয়দ মো. আবু সায়েমের সঙ্গে কথাও বলেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) সৈয়দ মো. আবু সায়েম বলেন, ‘যত বড় মোস্ট ওয়ান্টেড কিংবা প্রভাবশালী হোক সঠিক তথ্য-প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব আমাদের।’ কর্ণফুলীতে চলমান অভিযানে দ্রুত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এজেড/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা