বর্ষায় পাহাড় পেখম মেলে

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৪

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বর্ষায় প্রকৃতি পেখম মেলে। সবুজ অরণ্য সবুজ ফিরে পায় যৌবন। গ্রাম-বাংলার সৌন্দর্য বাড়তি মাত্রা পায়। তবে বর্ষায় পাহাড়ের পাহাড়ের সৌন্দর্য যেনো বাড়তি মাত্রা পায়। ময়ূরের মত পাহাড়ও পেখম মেলে। তাই বর্ষায় ঘুরে আসতে পারেন পাহাড় থেকে।

এই বর্ষায় পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে পার্বত্য এলাকায়। বিশেষ করে যেতে পারেন নীলগিরি কিংবা নীলাচলে। 

বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,২০০ ফুট উচ্চতায় এই পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ এই জায়গা থেকে পর্যটকরা সহজেই মেঘ ছুঁতে পারেন বলে একে বাংলাদেশের দার্জিলিংও বলা হয়৷

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে যে দিকে চোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ৷ চারপাশে সবুজের সমারোহ আর নির্জন প্রকৃতি নীলগিরির অন্যতম আকর্ষণ৷

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে আছে বেশ কয়েকটি কটেজ৷ ফলে পর্যটকরা চাইলে পাহাড়চূড়ার এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে সহজেই রাত যাপন করতে পারেন৷

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত৷ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন৷ তাই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হলেও জায়গাটিতে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই৷

নীলগিরি পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশেই আরেকটি পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘ম্রো’দের গ্রাম ‘কাপ্রু পাড়া’৷ নীলগিরিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা সহজেই দেখে আসতে পারেন আদিবাসী এই জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা৷

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই পাহাড়িদের জুম ক্ষেতের মাঝে জুম ঘর৷ জুম চাষের এ দৃশ্য দেখা যাবে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত৷

বান্দরবান থেকে নীলগিরি যেতে পাহাড়ি পথের ধারে নিজেদের নানান হস্তশিল্প বিক্রি করেন ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর মানুষেরা৷ পর্যটকরা সহজেই কিনতে পারেন এসব আকর্ষণীয় পণ্য৷ 

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এজেড)