কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বর ছাড়লেন রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১৮:২২ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানহানি মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে জামিন পাওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান হামলার শিকার হয়েছেন। পরে আহত ও রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানকে আদালত এলাকা থেকে পুলিশ প্রহরায় বেরোতে দেখা যায়।

আজ রবিবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মাহমুদুর রহমানের সঙ্গীয় লোকজনের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।

আজ সকালে মাহমুদুর রহমান ৫০০ ধারায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়া আদালতে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে কটূক্তির অভিযোগে মামলাটি করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইয়াসির আরাফাত। বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মোরশেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এরই মধ্যে স্থানীয ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আদালতের সামনে জড়ো হয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। দুপুর ১২টা থেকে আদালত এলাকায় মাহমুদুর রহমানকে ঘিরে রাখেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

বেলা একটার দিকে মাহমুদুর রহমান আইনজীবী ও সঙ্গীয় লোকজনের সঙ্গে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আদালত ভবনের সব কটি ফটক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আটকে দেন বলে জানান তার আইনজীবীরা। এ সময় মাহমুদুর রহমান আদালতে ফিরে গিয়ে বিচারকের অনুমতি নিয়ে এজলাসে আশ্রয় নেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ পরিবেশ বিরাজ করায় মাহমুদুর রহমান বিষয়টি আদালতকে জানান। পরে লিখিতভাবে পুলিশ প্রহরার জন্য তিনি আবেদন করেন।  আদালত পুলিশ প্রহরার নির্দেশ দেন বলে জানান তারা।

পরে মাহমুদুর রহমান আদালত এলাকা থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার সময় তার ওপর ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায় কিছু লোক। তারা ঢিল ছুড়ে ও লাঠি দিয়ে তার গাড়ির সব কাচ ভাঙচুর করে। এতে তিনি মাথায় ও চোয়ালে আঘাত পান। এ সময় অন্য কয়েকজন লোক তাকে গাড়ি থেকে বের করে মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট সামস তামিম মুক্তির চেম্বারে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে যশোরে নেয়া হয়।

এদিকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, যশোর থেকে বিমানযোগে মাহমুদুর রহমানকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এখানে তিনি চিকিৎসা নেবেন বলে জানা গেছে।

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানায় পুলিশ। 

আদালতে মাহমুদুর রহমানের  সঙ্গে ছিলেন কুষ্টিয়া বারের সিনিয়র আইনজীবী আমিরুল ইসলাম, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির লসয়দ মেহেদি আহমেদ রুমী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/মোআ)