সোয়া কোটি গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪২ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮, ০৮:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে এখন এক কোটি ১৬ লাখ কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কোরবানিযোগ্য এসব গবাদিপশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়।

গত বছর ঈদের আগে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজার। সরকার গত কয়েক বছর ধরে বলে আসছে, দেশি গরু-ছাগলেই কোরবানির মওসুমের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সরকার এবার কোরবানির ঈদের ছুটি রেখেছে ২১ থেকে ২৩ আগস্ট। অর্থাৎ, ১২ আগস্ট জিলহজ মাসের চাঁদ উঠলে ২২ আগস্ট বাংলাদেশের মুসলমানরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করবে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদ সামনে রেখে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি সেবাসংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এবারের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

সভায় জানানো হয়, কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোট হাটে একটি এবং বড় হাটে দুটি করে এবং ঢাকার গাবতলী হাটে চারটি মেডিকেল টিম থাকবে। প্রতিটি টিমে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন টেকনিক্যাল কর্মী (ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সহকারী–ইউএলএ) এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে ইন্টার্ন ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন।

 

গত বছর সারাদেশে দুই হাজার ৩৬২টি কোরবানির হাটে এক হাজার ১৯৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবাদিপশুর খামারগুলোতে ‘স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের’ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এবারও পদক্ষেপ নেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধের বিক্রি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব দ্রব্য চোরাইপথে প্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি ছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।

নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা, পশুবর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা এবং কোরবানির আগে-পরে ঢাকা মহানগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এমএম/জেবি)