তামিম, সাকিব ও মুশফিকে বাংলাদেশ ২৭৯

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ২৩:৩৪ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮, ০৪:১৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দুই  টেস্টের চার ইনিংসের একটিতেও ২০০ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে টেস্ট সিরিজের বিপর্যয় কাটিয়ে সেই চেনা বাংলাদেশকে দেখা গেল গায়ানাতে, প্রথম ওয়ানডেতে। তামিমের অপরাজিত ১৩০ (১৬০ বলে), সাকিবের ৯৭ (১২১ বলে) এবং শেষ দিকে মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে ২৭৯ রানের বড় স্কোর গড়লো বাংলাদেশ।

১ রানে এক উইকেট। এই অবস্থায় কাণ্ডারি হলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। শুরুর ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে দলকে টেনে নিতে থাকেন এ জুটি। ২৫.৪ ওভারে পূরণ হলো ১০০ রান।৮৭ বলে ক্যারিয়ারের ৪২তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ৩৮তম হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব আল হাসান। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৬৮ বলে।

হাফ সেঞ্চুরির করার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন সাকিব-তামিম। উইকেটের চারদিকে চার আর ছক্কা। এক পর্যায়ে অতিক্রম করেন ১৬২ রান। মানে ১৬১ রানের অপরাজিত জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে যেটি দেশের জন্য নয়া রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেট জুটি ইমরুল কায়েস- জুনায়েদ সিদ্দিকি মিলে ১৬০ রান করেছিলেন ২০১০ সালে, ডাম্বুলাতে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। এতদিন এটাই ছিল দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দেশের সর্বোচ্চ রান।

তামিম- সাকিব মিলে ওই রেকর্ড ভেঙে দেন। এতদিন যে কোনো উইকেট জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান করার কৃতিত্ব সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দখলে ছিল। গতবছর কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৪ রান করেছিলেন সাকিব- রিয়াদ পঞ্চম উইকেট জুটিতে।

১৬২ রান অতিক্রম করার পর দেখার ছিল রেকর্ড ২২৪ রান টপকাতে পারেন কিনা। সেদিকেই এগুচ্ছিলেন তারা। জোড়া সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছিলেন সাকিব- তামিম। কিন্তু না, ৯৭ রান করার পর ক্যাচ আউট হয়ে ৩ রানের আফসোস নিয়ে ফিরতে হয় সাকিবকে। ২০৭ রানের জুটি। গায়ানাতে যে কোনো উইকেট জুটিতে এটাই সর্বোচ্চ রান। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সাকিব না পারলেও সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন তামিম। ১৪৬ রানে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। অবশ্য ক্যারিয়ারে এটাই ছিল তামিমের সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরির রেকর্ড।

সাকিবের বিদায়ের পরপরই ৪ বলে ৩ রান করে স্ট্যাম্প হয়ে যান সাব্বির। তবে শেষ দিকে দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করেন মুশফিক। ৪৯তম ওভারে একাই ২২ রান নেন তিনি। ১১ বলে  ৩০ রান করেন মুশফিক। আর ১৬০ বলে ১৩০ রান করে নট আউট থাকেন তামিম। বাংলাদেশের স্কোর থামে ৪ উইকেটে ২৭৯ রানে।

সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। কিন্তু শুরুটা জঘন্য ছিল বাংলাদেশের। কোনো রান না করেই পেসার জেসন হোল্ডারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। দলের রান তখন ১। ওভার ১.৩। মানে স্বাগতিকদের পেস আক্রমণে শুরুতেই যবুথবু অবস্থা হয় টাইগারদের।

৪.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন এক উইকেটে ১০, তখন বৃষ্টি শুরু হলে খেলা সাময়িক বন্ধ থাকে। তবে দ্রুত বৃষ্টি থেমে গেলে আবার ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। বৃষ্টির পর আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ। বিপদ থেকে দলকে দারুণ জায়গায় নিয়ে যান তারা।

এদিন তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন এনামুল হক বিজয়। গত জানুয়ারিতে ঢাকাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন বিজয়।কিন্তু ব্যাটে রান পাননি তেমন। তবে সৌম্য সরকারের বাজে ফর্মের কারণে আবারও সুযোগ পান এ ওপেনার। কিন্তু আবারও ব্যর্থ হন বিজয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ইনিংস: ৫০ ওভারে ২৭৯/৪ (এনামুল হক বিজয় ০, তামিম ১৩০*, সাকিব ৯৭, মুশফিক ৩০*। হোল্ডার১/৪৭)

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/ডিএইচ)