কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ০৯:৪৮ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮, ০৯:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কয়লার অভাবে অবশেষে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কয়লা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় রবিবার রাত ১০টার দিকে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এতে চরম বিদ্যুৎ সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রংপুর বিভাগের আট জেলায়। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কয়লা সঙ্কটের জন্য খনি কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গত ১৬ জুন ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়লা সংকটে ঝুঁকিতে পড়ে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিট। এ কেন্দ্র দুটির উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে, গত বছরে অক্টোবরে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়।

গত বুধবার খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ না থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই রবিবার রাত ১০টার দিকে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিটও বন্ধ করে দেয়া হয়।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম জানান, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিসিএমসিএল। তারা কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালাতে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়। কিন্তু খনিতে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবং মজুদ ফুরিয়ে আসায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটই বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

এদিকে, কয়লা মজুদের গড়মিলের ঘটনায় খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ওএসডি, মহা-ব্যবস্থাপককে বদলি এবং দুজন উপ- মহাব্যবস্থাপককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

কয়লা উধাও হওয়ার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন শ্রমিকরা।

ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এমআর