নেত্রকোণায় তিনজনের ফাঁসি, ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৮, ১৫:৪১

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে খুন ও ডাকাতির মামলায়  তিনজনের  ফাঁসি এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে সাজাপ্রাপ্তদের।

মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোণা দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কামারগাও গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাহের (৩২), ধীরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে কাউছার আহম্মদ (৩৭) ও নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার আমানীপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে উসমান গনি (৩৯)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের শহীদ মিয়া, খলিল,  রুইক্যা ওরফে রহিম, বল্লভপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে জ্যেতি, দৌলতপুর গ্রামের মহিবুর, চিকাডুবি গ্রামের রমজান মিয়া, কাইল্যা, শফিক, রইছ আলী,মনু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, কামারগাও গ্রামের সিদ্দিক মিয়া, দিদার জিয়াউল হক, উজানগাও গ্রামের শাহজাহান, হীরা, আক্কাছ, দাউদপুর গ্রামের শুক্কুর, নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার আমানীপুর গ্রামের  কবীর। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে।

রায় প্রদানের সময় পাঁচজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইফুল আলম প্রদীপ।

পিপি মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে নেত্রকোণা জেলার খালিযাজুরী উপজেলার আদমপুর গোয়ালবাড়ি গ্রামে চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনা টের পেয়ে গ্রামবাসি ডাকাতদলের সদস্যদের ঘেরাও করে। এসময় ডাকাতরা  এলোপাথারি  গুলি ছুড়লে গ্রামের মনোরঞ্জনের ছেলে চয়ন সরকার (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই সাথে ডাকাতদের গুলিতে সুনামগঞ্জের চিকাডুবি গ্রামের আনু মিয়া নামে এক ডাকাতও নিহত হয়।

পরদিন নিহতের বাবা মনোরঞ্জন সরকার বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেন। পুলিশি তদন্তে মনু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন ও মহিবুরকে গ্রেপ্তার করলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

পিপি আরও জানান, সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮ থেকে ১০টি করে মামলা রয়েছে। এই মামলার রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দণ্ডিতরা হাওরাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।এই রায় দেখে অপরাধীরা আর অপরাধ করার সাহস পবে না।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)