বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরীর নিম্নাঞ্চল

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৬

চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকা। নগরীর অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের সড়কগুলোয় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে। সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল। বৃষ্টির কারনে নগরীর অধিকাংশ রুটে গণপরিবহন স্বল্প পরিসরে চলাচল করছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও বাস-টেম্পু না পেয়ে অনেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি।

ভারী বর্ষণের ফলে চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলজট ও যানজটে নাকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসী। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, সিডিএ আবাসিক, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড়সহ নিচু এলাকায় জমেছে হাঁটুপানি। পাহাড় ক্ষয়ে বৃষ্টির পানির সঙ্গে নামছে প্রচুর বালু। ভরাট হচ্ছে নালা-খাল, বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পানি উঠে যাচ্ছে সড়কে।

সারাদিন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে থাকায় নগরের সড়কগুলোতে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কমে গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ গণপরিবহনের সংখ্যাও।

নগরীর জিইসি মোড়ের বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কলেজ ছাত্র সোহাগ জানান, তিনি আগ্রাবাদ যাবেন। বাসের অপেক্ষায় প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছেন। নগরীর ওয়্যারলেস মোড় থেকে জিইসি মোড় আসা যাত্রী সোহান আহমেদ বলেন, আধা ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে একটি টেম্পো পেয়েছেন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে।

এদিকে গণপরিবহন সংকটের কারনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন সিএনজি ও রিকসা চালকরা। ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে দুই তিন গুণ ভাড়া বেশি আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে দুই তিন গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাহাড় ধসের আশঙ্কা

এদিকে চলমান বৃষ্টিপাত আরো চার পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে অতিভারী বর্ষনে চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরই মধ্যে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বসতির বসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :