হতাশার হারে ‘কাঠগড়ায়’ আইসিসির নিয়ম
দুই ওভারে যখন দরকার ১৪ রান, হাতে তখন ছয় উইকেট। এমন সময়ে পরাজয়টাই যেন কঠিন। কিন্তু এমন কঠিন কাজটাই করে দেখালো টাইগাররা। সহজ ম্যাচ কঠিন করে হাতের মুঠোয় থাকা জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উপহার দিয়ে দিলো মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
ম্যাচ শেষে হতাশার কাঠগড়ায় বাজে ফিল্ডিং আর শেষের ওভারের ব্যর্থতা। কিন্তু সেই সঙ্গে আলোচনায় আসছে আরো একটি বিষয়। সেটি হলো আইসিসির ডিআরএস নিয়ম।
আইসিসির নিয়মে আছে, মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউততে সেই সিদ্ধান্ত বদলে গেলেও ওই বলে কোনো রান যোগ হবে না। আউটের সিগন্যাল পাওয়া বলটি ‘ডেড’ বল হিসেবে ধরা হয়। যদিও এর পেছনেও রয়েছে যুক্তি, কারণ আউটের সংকেত দিলে ফিল্ডাররা বল ধরার আগ্রহ রাখেন না। যার জন্য সেই বলে রানও দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৩তম ওভারে এমনই রিভিউর শিকার হন মুশফিকুর রহিম। দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন মুশফিক। সাদা চোখে মনে হয়েছে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। কিন্তু বলটা ঠিকই বাউন্ডারির সীমানা পেরিয়ে যায়। এদিকে ক্যারিবীয়দের লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন মাঠের আম্পায়ার। সাড়াও দেন আম্পায়ার। কিন্তু মুশফিক রিভিউ নিলে দেখা যায়, আসলে আউটই হননি মুশফিক। ‘আলট্রা এজ’ প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বলটা তাঁর ব্যাটে লেগেছিল। মানে তাঁর ব্যাটে লেগেই বল সীমানাছাড়া হয়েছিল। কিন্তু মুশফিক কোনো রান পাননি।
শুরুতে কোন কথা না হলেও শেষে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর কারণ, মুশফিকের যোগ না হওয়া সেই চার রান। আম্পায়ারদের ভুলে কারণে যেটি চার হয়নি। অর্থাৎ আম্পায়ারের যদি তখন ওইরকম ভুল না হত তাহলে চারটি রান পেত বাংলাদেশ। তাতে হয়তো বাংলাদেশের রেজাল্টও হতে পারতো অন্যরকম। বাংলাদেশ যে হেরেছে তিন রানে!
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এইচএ/ইএস)