রাজউকে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুতে অপমৃত্যুর মামলা

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০১৮, ২৩:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ইথিকা (১৬) নামের এক ছাত্রীর  রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা দাবি করছেন, ইথিকা টিসির হুমকির ভয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা।

ইথিকা রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার ছাত্রী ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, সে সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয়েছিল। শিক্ষার্থী ও কিছু অভিভাবকের দাবি, সে চারতলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিল। গত মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষায় ফল খারাপ করায় অভিভাবকের ভয়ে ইথিকা নিজেই উত্তরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে নেয়। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাকে ডেকে পাঠায়। নম্বর বাড়ানোর ঘটনায় তাকে বকাঝকা করে কলেজ থেকে টিসি দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এরপর ইথিকা ভবনের চার তলা থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে বলে জানান ওই অভিভাবক।

আহত অবস্থায় ইথিকাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ মারা যায় সে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা ইথিকার লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করে।

ইথিকার মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি জানালে ওই অভিভাবক বলেন, ‘তারা কেন এটি হাইড করছে আমি জানি না।’

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক মানিক মাহবুব সেটিকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন।

উপপরিদর্শক মানিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওই দিন আমি ডিউটিতেই ছিলাম। যতটুকু শুনেছি মেয়েটি সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিল। পরে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’ এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওই দিন আমি ছুটিতে ছিলাম বলে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। তবে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। আর শুনেছি এটি নাকি নিছক একটি দুর্ঘটনা।’

প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঘটনার পর দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে শিক্ষকরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুতে সান্ত¦না দেন। শিক্ষকরা জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র।

তখন শিক্ষার্থীরা ইথিকার মৃত্যু দুর্ঘটনা নয় আত্মহত্যা বলে দাবি করে। এ সময় শিক্ষকরা তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এএ/মোআ)