হজযাত্রী প্রতিস্থাপন কোটা ১৫ শতাংশ করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ জুলাই ২০১৮, ১৬:৩৪ | প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৪

হজ কোটা সম্পন্ন করতে ১৫ শতাংশ বদলি কোটা পূরণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, ১৫ শতাংশ বদলি কোটা পূরণ না করা হলে প্রায় আট হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবে না।

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের এই দাবি করেন।

‘কোটার মধ্যে যারা আছে সবাই যেন হজে যেতে পারে সেজন্য আমরা আগামী রবিবারের মধ্যে ১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

হজের জন্য নিবন্ধন করা কোনো ব্যক্তি মারা গেলে কিংবা গুরুতর অসুস্থ হলে তার বদলি হিসেবে অন্য কাউকে হজ করার সুবিধা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর এই রিপ্লেসমেন্ট বা প্রতিস্থাপন কোটা ৪ শতাংশ রাখে মন্ত্রণালয়। চলতি বছর এ কোটা বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। সংগঠনটি দাবি করছে এই কোটা ১৫ শতাংশ করার।

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘হজ কোটা পূরণে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে মোট আট শতাংশ হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেওয়া হয়েছে। সরকার আট শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট দেয়ার পরেও এখনও প্রায় আট হাজার যাত্রীর টিকেট বাকি রয়েছে। এই রিপ্লেসমেন্ট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা না হলে প্রায় আট হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবে না।’

আব্দুল্লাহ আল নাসের বলেন, ‘সৌদি সরকার ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ সরকারি ও বেসকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবার সম্পূর্ণ কার্যক্রম করার পরও তারা হজে যেতে পারবে না। এই কোটা যদি পূর্ণ না করা হয় এটা আমাদের দেশের জন্য ক্ষতি হবে, কারণ কোটা পূরণ না হলে সৌদি সরকার পরের বছর কোটা কমিয়ে দেবে।’

‘তাই সরকার ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের দাবি, যে করেই হোক সবাইকে হজে যাবার ব্যবস্থা করে দিন।’

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৭৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। প্রথম দফায় ৪ শতাংশ কোটা পূরণ হয়ে গেছে। প্রথম দফার এই কোটায় মোট চার হাজার ৬১৪ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

গত ১৪ জুলাই থেকে থেকে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ালাইন্সে করে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হাব ওলামা সোসাইটির সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ এজেন্সির আট থেকে ১৫ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। নিবন্ধন করার পরে অনেক হজযাত্রী মারা যান কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে অনেক সময় তার পরিবারের সদস্যরাও স্বেচ্ছায় হজযাত্রা বাতিল করেন। এজেন্সিগুলো নিবন্ধিত হজযাত্রীর জন্য সৌদি আরবে বাড়িভাড়া থেকে শুরু করে সব খরচ করে ফেলে। বদলি হজযাত্রী নেওয়ার সুযোগ দিলে এজেন্সিগুলো রক্ষা পায়।’

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এনআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :