স্কুলের এক দরজা ও দুই জানলার বিল ছয় লাখ!

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৮, ২১:৩৪ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৮, ২২:৩৭

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের আদিমারির হাজীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি দরজা ও দুটি জানলা বানিয়ে ছয় লাখ টাকা বিল তুলে নিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের(এলজিইডি) অধিভুক্ত একজন ঠিকাদার। অথচ দরজা ও জানলা দুটির প্রকৃত খরচ মাত্র ২০ হাজার টাকা।

হাজীগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য আনোয়ার হুসাইন অভিযোগ করেন, ঠিকাদার ইকবাল হুসাইন দাউদ স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজ করেছেন।

উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা সূত্র জানায়, ওই স্কুলের ১৩টি জানলা, আটটি দরজা এবং একটি সিলিং তৈরির জন্য ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ঠিকাদার দাউদকে। 

আনোয়ারের অভিযোগ, নিম্নমানের একটি দরজা ও দুটি জানলার কাজ করে জুনের শেষ সপ্তাহে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল তুলে নেন ওই ঠিকাদার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুল সভাপতি ও এলজিইডি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে খুব সহজেই পুরো টাকা তুলে নেন তিনি।

ঘুষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুল কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেছেন, ঠিকাদার তাদের নিশ্চিত করেছেন চলতি মাসের মধ্যেই বাকি কাজ করে দেবেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেছেন, তিনি জানেন না ঠিকাদার কীভাবে কাজের পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন। কারণ তিনি কাজ সম্পূর্ণ করার কোনো ছাড়পত্র দেননি।

অভিযুক্ত ঠিকাদার জানান, এলজিইডির অধীন স্কুল সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার চূড়ান্ত টাকা তিনি তুলেননি। 

তবে আদিতমারী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র পাওয়ার পরই ওই ঠিকাদারকে পুরো টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে তিনি ঠিকাদার থেকে কোনো প্রকার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এসআই/জেবি)