‘জিয়া আইএসআইয়ের মিশন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০১৮, ২১:৩৬

একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সেনাগোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। আইএসআইয়ের মিশন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের নীল নকশা অনুযায়ী ১৯৭৫সালের পর থেকে দেশকে পাকিস্তানি ও মৌলবাদী করণ শুরু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সেনাগোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি আইএসআইয়ে নিযুক্ত হন। আইএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধে গেলেন। শাহরিয়ার রশিদসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও মুক্তিযোদ্ধে গিয়েছিলেন। তারা দেশের জন্য নয়, আইএসআইয়ের মিশন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মিশন ছিল, যদি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় তা কিভাবে রদ করা যায়। ওই নীল নকশা অনুযায়ী ১৯৭৫সালের পর থেকে দেশকে পাকিস্তানি করণ, মৌলবাদী করণসহ সবই আরম্ভ হয়েছে।

শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, দুই জেনারেলের সময় সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলা হলো। ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন আছে তাহলে কিভাবে তার ওপর আস্থা রাখা যায়? শহীদদের সংখ্যা নিয়ে তো প্রশ্ন করে পাকিস্তানিরা। বেগম জিয়া পাকিস্তানীদের সাথে সুর মিলিতে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বলছি যে এ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ সহিংসতা যে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরই হবে তা নয়, আমার ওপরও টার্গেট আছে। আমার চলাফেরা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। চাইলেই আমি কোথাও বেরুতে পারি না। অনেকেরই এ অবস্থা। তারা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিবে। তারা গৃহযুদ্ধের পথ বেছে নিবে। এই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও শক্তিকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কারো কারো জন্য উৎসব হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রচ- আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। ডিসেম্বরে নির্বাচন আসছে। আবার কোনো কেয়ামত নেমে আসে এটা নিয়ে তারা আতঙ্কগ্রস্থ।

জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, কেন্দ্রীয় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মকবুল-ই-এলাহী, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী।

জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লিটন দেবের সঞ্চালনায় এতে আলোচক ছিলেন জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করে।

ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/প্রতিনিধি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :