শিউলী হত্যা: ছয় দিন পর মামলা

দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগমের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে স্বামী শরিফ খানের করা অভিযোগ ছয় দিন পর মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। তবে বাস এবং অপরাধীদের শনাক্তে এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টেস কর্মী শিউলী বেগম কারখানার নির্ধারিত বাস ফেল করায় অন্য একটি বাস যোগে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা হন। বাসে উঠার প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় পৌঁছার পর যাত্রীবেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাসের জানালা দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীদের থেকে বাঁচতে শিউলী বেগম চলন্ত বাস থেকে লাফ দিলে ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনার দুই দিন পর নিহত শিউলীর স্বামী শরিফ খান অজ্ঞাত বাস ও ৪-৫ দুষ্কৃতিকারীর নামে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ছয় দিন পর মঙ্গলবার মির্জাপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম মিজানুল হক অভিযোগটি নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই মির্জাপুর হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুস ছামাদ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানী এলাকার মা সিএনজি পাম্প এবং ধেরুয়া এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস ওয়ার ইন্ড্রাস্ট্রিজ থেকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানায় আসেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন এবং সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন। এসময় মির্জাপুর থানার ওসি একে এম মিজানুল হক, গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম কাউসার, এসআই ছামাদ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজগুলো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহত শিউলীর পরিবারের সদস্যদের দেখানো হয়।

মির্জাপুর থানার ওসি একে এম মিজানুল হক অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)