লালমনিরহাটের বিলুপ্ত ছিটমহলে তৃতীয় বর্ষপূর্তি

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪৭

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লালমনিরহাটে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে ছিটলমহল বিনিময়ের তৃতীয় বর্ষপূর্তি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  নানা অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেন লালমনিরহাটের বিলুপ্ত ছিটের নব্য বাংলাদেশীরা। মোমবাতি প্রজ্জলন, দেশীয় নৃত্য ও সংগীতানুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা শেষে রাত ১২টা ১মিনিটে কেক কাটা হয়।

২০১৫ সালের ঐতিহাসিক এই দিনে ৬৮ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পায় বর্তমান বিলুপ্ত ছিটমহলের নব্য বাংলাদেশীরা।

মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ভিতরকুটি বিলুপ্ত ছিটমহলে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কবি ফেরদৌসী বেগম বিউটি, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

বিলুপ্ত ছিটমহল উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে এ সময় সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সবুজসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মী ও বিলুপ্ত ছিটের কয়েকশত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

বুধবার সূর্য উদয়ের সাথে সাথে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নব্য বাংলাদেশীরা। পরে একটি বিজয় র‌্যালি বিলুপ্ত ছিটমহলের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় সর্বস্তরের জনগণ।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটহল মিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮বছরের বন্দি জীবনের অবসান ঘটে ভারত-বাংলাদেশের ১৬২টি ছিটমহলের কয়েক হাজার মানুষের। এরমধ্যে ১১১টি বাংলাদেশের এবং ৫১টি ভারতের ভূ-খণ্ডের সাথে যুক্ত হয়। বাংলাদেশের ১১১টির মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় ১২টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগ্রাম জেলায় ৩৬টি এবং নীলফামারী জেলায় রয়েছে ৪টি বিলুপ্ত ছিটমহল।

লালমনিরহাট জেলার ৫৯টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে সদর উপজেলায় ২টি, হাতিবান্ধা উপজেলায় ২টি ও বাকী ৫৫টির অবস্থান পাটগ্রাম উপজেলায়। তবে পাটগ্রামে ৫৫টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে ১৭টিতে কোন জনবসতি না থাকায় এগুলোকে আবাদি জমি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)