‘আমার আমলে বড়পুকুরিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়নি’

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৯ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটিতে তার মেয়াদকালে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের ৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী পাঁচ মাস আমি এখানে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু সেসময় কোনো রকমের দুর্নীতি হয়নি।’

বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

২০১৫ সালের আগস্ট থেকে পাঁচ মাসের জন্য নুরুল আওরঙ্গজেব বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির এমডি হিসেবে কর্মরত।

তার আমলে কোনো দুর্নীতির ঘটনা না ঘটলে দুদক তাকে কেন তলব করেছে জানতে চাইলে আরঙ্গজেব বলেন, ‘স্বল্প সময় হলেও যেহেতু আমি দায়িত্বে ছিলাম, তাই তদন্তের সুবিধার জন্য আমার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে ডেকেছে।’

‘সাম্প্রতিক এই অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চেয়েছে, তথ্য নেয়ার জন্য বলেছে। বিভিন্ন তথ্য দিয়েছি। যেমন- কীভাবে প্রডাকশনটা হয়, কীভাবে ইয়ার্ডে যায়, পিডিবিতে কীভাবে যাচ্ছে ইত্যাদি।’

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা গায়েব হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা তদন্তাধীন বিষয়। এখানে মন্তব্য না করাই ভালো। তবে আমার মেয়াদে কোনো দুর্নীতি হয়নি। আর অন্য সময়ের দুর্নীতির বিষয় আমার নোটিশে আসেনি। সে বিষয়ে আমি বলতে পারছি না।’

কয়লা গায়েবের ঘটনায় গত ২৭ জুলাই রাত ১২টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে খনির এক লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা গায়েবের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের তদন্তে নেমে মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক।

এর আগে গত ২৩ জুলাই বড়পুকুরিয়ার দুর্নীতির তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন-সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। যার সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদকের পরিচালক কাজী শফিককে।

এস এম নুরুল আওরঙ্গজেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ জুলাই চিঠি পাঠায় দুদক। আজ তলবের দিনে তিনি হাজির হন।

(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/এএকে/জেবি)