ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতী ইউনিয়নের ফুলসুতি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে চায়না বেগম নামে চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে নিহতের ভাই নান্নু মাতুব্বর বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

চায়না বেগম উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের সোহাগ মোল্লার (৩১) স্ত্রী এবং পাশের লস্কর দিয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে।

চায়না বেগমের ভাই নান্নু মাতুব্বর অভিযোগ করেন, মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় চায়না বেগমকে মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ফুল সুতি গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লার সাথে পাশের লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে চায়না বেগমের প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে চার বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সময় চায়না বেগম চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত থাকায় বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যেই নেশার টাকা চেয়ে স্ত্রীকে মারপিট করত। মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগকে মাদক সেবনে বাধা দিলেও স্ত্রী চায়নাকে মারপিট করত।

চায়নার ভাই নান্নু মাতুব্বর বলেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সোহাগের বোন কেয়া আক্তার মোবাইল ফোনে আমাদের সংবাদ দেয় যে, চায়না ঘরের দরজা থেকে পড়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়েছে। আমি ও আমাদের পরিবারের লোকজন রাতেই চায়নার স্বামীর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি চায়নার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এসময় চায়নার শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা নগরকান্দা থানায় খবর দিলে পুলিশ বুধবার সকালে চায়নার লাশ উদ্ধার করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় চায়নাকে তার মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, চায়নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে চায়নার ভাই নান্নু মাতুব্বর বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)