‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে উত্তাল বগুড়া

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০১৮, ২০:১৯

ঢাকায় বাসচাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বগুড়ায় সকাল থেকে বিক্ষোভ করেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু করে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে নিমিষেই উত্তাল হয়ে ওঠে বগুড়া। ওই দিন বগুড়া থেকে ঢাকাগামী কোন বাস চলাচল করেনি।

বিক্ষোভকারীদের হাতে হাতে প্রতিবাদের বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুন প্লেকার্ড ছিল। সকালের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে ছাত্ররা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে পুলিশ তাদের ঘিরে রাখলেও বাধা দেয়নি।

শহরের সাতমাথায় অবস্থানের ঘণ্টাখানেক পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তিনমাথা রেলগেট এলাকায় রংপুর- ঢাকা মহাসড়কের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে একটা অংশ শহরের আজিজুল হক কলেজ এলাকার কামারগাড়ী রেলগেট পর্যন্ত যায় এবং সেখানে কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে ফিরে দিয়েছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবার শহরের সাতমাথায় ফিরে রাস্তায় অবস্থান করছে। তাদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শিক্ষার্থী বক্তব্য এবং স্লোগান দিচ্ছে।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ছাত্রদের বিক্ষোভ থামানো যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ছাত্রদের গণজমায়েত বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো সাতমাথার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। জেলার ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। বিক্ষোভে বেশ কিছু অভিভাবককে তাদের সন্তানদের নিয়ে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গেছে।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের কাছে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা ছাত্রদের বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের মাইকের মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যেই তোমাদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং তোমরা বাসায় ফিরে যাও।’ এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা না না বলে চিৎকার করতে থাকে। অবশেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে যান। এক পর্যায়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন নেতাকর্মীদের নিয়ে সাতমাথায় ছুটে যান। তিনিও ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে- ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনেক শিক্ষার্থীকে সাতমাথা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। যদিও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তারা শুধু ছাত্রদেরকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। কাউকে জোর করে সাতমাথা থেকে সরিয়ে দেননি।

এদিকে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনে কয়েকটি গাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে গ্লাস ভাঙচুর করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :