গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ গুম, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে তিন মাস পর স্বামী রহমত মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তার বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে হাড় সদৃশ্য সামান্য অংশ উদ্ধার করে।
রহমত মিয়া উপজেলা সদরের গালর্স স্কুল রোডের বাসিন্দা নূর হোসেনের ছেলে।
স্ত্রী কল্পনা উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের আব্দুর রহিম ও হালিমা আক্তারের মেয়ে।
শুক্রবার রাতে আটকের পর শনিবার বিকালে পুলিশ অভিযানে গেলে রহমত মিয়া আটকের বিষয়টি সামনে আসে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, প্রায় ৬/৭ বছর আগে রহমত মিয়ার সাথে কল্পনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানান অজুহাতে কল্পনার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়। এক পর্যায়ে কল্পনা তার বাবার বাড়ি মেঘশিমুল গ্রামে মায়ের কাছে চলে যান। তিন মাস আগে রহমত আলী মীমাংসার মাধ্যমে কল্পনাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এর তিন দিন পর থেকেই কল্পনাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় রহমত আলী জানায়, ঝগড়া করে তার স্ত্রী ঢাকায় চলে গেছে। এরপর সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বললে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে কল্পনার মা হালিমা আক্তার পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ করেন। শুক্রবার রাতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রহমত আলীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে আটক করে পূর্বধলা থানার পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের রহমত আলী জানায়, সে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ তার বাড়ির টয়লেটে গুম করে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার তার বাড়ির টয়লেট থেকে মানুষের হাড় সদৃশ সামান্য অংশ বিশেষ পাওয়া গেলেও লাশ পাওয়া যায়নি। সে লাশ টয়লেটের ট্যাংকেতেই রেখেছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করে।
ওসি মো. বিল্লাল উদ্দিন আরো জানান, রহমত আলী স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)