জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আলোকচিত্রী শহিদুল

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১১:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা হেফাজতে নেয়া হয়েছে, যাকে গতকাল রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল তার পরিবার।

সোমবার সকালে তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহিদুল আলমকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাতে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতাকে বাসা থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছিল তার পরিবার। পরে যোগাযোগ করা হলে ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানিয়েছিল, তিনি পুলিশের হেফাজতে নেই। আর কে বা কারা তাকে নিয়ে গেছে তাও তাদের জানা নেই।

শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেছিলেন, গতকাল রাতে ধানমণ্ডির ৯/এ সড়কের বাসার চারতলা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে গেছে ডিবি পরিচয় দেওয়া একদল লোক। পরে রাতেই তিনি ধানমন্ডি থানায় একটি অভিযোগ করেন।

এছাড়া দৃক গ্যালারির কমিউনিকেশন অফিসার আমিনা নেয়ামতের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমকে জোর করে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে অপহরণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংটির দারোয়ান এবং অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ৩০-৩৫ জন সাদা পোশাকধারী নিজেদের ‘ডিবির লোক’ (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) পরিচয় দিয়ে বিল্ডিংয়ের উপরে উঠে ড. আলমকে নামিয়ে আনে। তাকে জোর করে বাইরে অপেক্ষারত একটি ‘হায়াস’ গাড়িতে তোলার সময়ে তিনি চিৎকার করছিলেন এবং গাড়িটির বাইরের গায়ে লেখা ছিল, ‘পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তারা বিল্ডিংটির সিসিটিভি ক্যামেরাটি টেপ করে দিয়ে, সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে যান এবং বাসার দারোয়ানদের ধাক্কা দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখে যান। তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ এ সময় পার্শবর্তী ফ্লাটে ছিলেন, তার চিৎকার শুনে তিনি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তাকে বহনকারী গাড়িটি এবং এর সঙ্গে থাকা আরও দুইটি গাড়ি দ্রুতবেগে চলে যায়।’

পরে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লতিফ বিশ্বাস শহিদুল আলমের স্ত্রীর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়ার কথা জানা যায়।

ঢাকাটাইমস/৬আগস্ট/এসএস/এএ/এমআর