সাত মাসেও ফেরেনি বগুড়ার উষা
সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ফিরে আসেনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলা শহরের খন্দকারটোলার বাসিন্দা ওসমান গণির মেয়ে গৃহবধূ শামিমা আক্তার উষা (২৩)। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। তবে শেরপুর থানা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক তথ্য নেই।
উষার বাবা ওসমান গণি বলেন, সে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকালে। দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর বিকাল অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে সবার অজান্তে চলে যায় উষা। সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলে আবু সায়েম অপেক্ষায় রয়েছে তার মায়ের ফিরে আসার।
মা যে তার দাদার পরিবারে অবহেলার ব্যক্তি ছিল, সবাই তাকে অত্যাচার করতো এটাও মনে করিয়ে দিয়েছে শিশুটি। সরকার ও পুলিশ বিভাগ যেন ‘মা’কে ফিরিয়ে দেয় এই অনুরোধ করেছে শিশু সায়েম।
স্বামী মো. বদিউজ্জামান (২৮) সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেঘাই মুসলিম পাড়ার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। লেখাপড়া তেমন একটা নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি গোপন রেখেই ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন উষাকে। মেয়ের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা (যৌতুক) পুঁজি করেই সংসার সাজাতে চেয়েছিলেন বদিউজ্জামান। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় উষার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নীরবে সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন।
রবিবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানানা ওসমান গণি।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)