ক্যান্সারে আক্রান্ত সিরিয়ার ‘ফার্স্ট লেডি’

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৪৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন সিরিয়ার ‘ফার্স্ট লেডি’ আসমা আল আসাদ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মারাত্মক ধরনের টিউমারের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

লন্ডনে জন্ম নেয়া আসমা আসাদকে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হয়। ২০১২ সালে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়নের জন্য সিরিয়ার ১২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই তালিকায় ছিলো আসমা আসাদের নামও।

দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় টুইটারে এটি ছবি পোস্ট করেছে। ছবিতে আসমা ও সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পাশাপাশি দুটি চেয়ারে বসে রয়েছেন। আসমার শরীরে স্যালাইন লাগানো রয়েছে। ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘আসমার স্তনে মারাত্মক টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রাথমিক ধাপের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।’

বস্তুত খুব একটা প্রকাশ্যে আসেন না আসমা আসাদ। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন এমন গুজবের পর কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসেন। সেসময় গুজবে কান না দিতে মানুষকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে তিনি স্বামীর সঙ্গে সিরিয়াতেই থাকবেন।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিয়ে হয় আসমা আসাদের। তখন হার্ভাডে এমবিএ করতে যাওয়ার কথা থাকলেও যাওয়া হয়নি। এছাড়া বিয়ের পর ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেনে তিনি।

২০০০ সালে ছুটির এক দিনে তিনি নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে বেড়াতে যান সিরিয়ায়। সেখানেই পরিচয় হয় পারিবারিক বন্ধু বাশার আল আসাদের সঙ্গে। ২০০০ সালের জুনে মারা যান বাশার আল-আসাদের বাবা তখনকার প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ। এরপর পিতার কাছ থেকে ক্ষমতা চলে আসে বাশার আল আসাদের হাতে। ২০০০ সালের নভেম্বরে আবার সিরিয়া ফিরে যান আসমা। ওই বছরেই ডিসেম্বরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

বাশার আল আসাদের সঙ্গে বিয়ের পর আসমা আখরাস হয়ে যান আসমা আল আসাদ। তার আগে তিনি বেড়ে ওঠেন লন্ডনের অ্যাকটনে। একাধারে ইংরেজি, আরবি, ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার দক্ষতা আছে তার।

ফার্স্ট লেডি হওয়ার পর নারী অধিকার ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলা এবং কাজ করায় বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন আসমা আসাদ। জাতিসংঘও তার কাজের প্রশংসা করেছিল। সেসময় তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আরব’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

এছাড়া ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিন তাকে মরুর গোলাপ বলে খেতাব দিয়েছিল। তাদের শিরোনাম ছিল ‘এ রোজ ইন দ্য ডেজার্ট’।

তবে সিরিয় যুদ্ধ শুরুর পর তিনি আসাদের সমর্থন ঘোষণা করলে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে তিনি যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক এজন্য ব্রিটেন তার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/একে/এমআর