মানবতায় বাবার সীমানাও পেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১৩ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪০

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম অগ্রাধিকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেছেন, মানবতায় প্রধানমন্ত্রীকে বাবার সীমানাও পেরিয়ে গেছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরতলীর বদরপুরের আফসানা মঞ্জিলে ‘সর্বজনীন ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকসমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন বলেই প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি জাতীয়করণ করেছিলেন, যার কারণে দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় নবজাগরণ হয়।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতায় তার বাবার সীমানাও পার করে ফেলেছেন। মন্ত্রিপরিষদে অর্থনৈতিকভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্ব পেলেও প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে প্রথম স্থানে রেখেছেন।’

মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম- এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতি গঠনের গুরু শিক্ষকরা। শিক্ষকদের সক্রিয়তায় দেশে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিঃস্বার্থ চেষ্টা, বুদ্ধি দিয়ে দলীয়করণের বাইরে থেকে শিক্ষা প্রসারে যেভাবে কাজ করে চলেছেন তাতে এ জাতিকে কেউ আর দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের একসঙ্গে উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নারী-পুরুষের ভেদাভেদ মিলে গিয়ে একসাথে সবার অবস্থান প্রমাণ করে দেশে কোনো লিঙ্গবৈষম্য নেই।’ তিনি এ সময় জাতিসংঘের জেন্ডার সংস্থার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এসে দেখে যান বঙ্গবন্ধুর দেশে লিঙ্গবৈষম্য নেই।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এলজিআরডি মন্ত্রীর ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান প্রমুখ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এরাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে প্রভাষক আইয়ুব আলী শেখ, মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষে মনিরুল ইসলাম, প্রথমিক শিক্ষকদের পক্ষে মোর্শেদা নার্গিস ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যক্ষ কাউছার উদ্দিন বক্তব্য দেন।

সদর উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/মোআ)