টাকা নিয়ে এজেন্সি পালানোয় উদ্বিগ্ন ৫১ হজযাত্রী

শওকত আলী, চাঁদপুর
| আপডেট : ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০৫ | প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩১
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকার ৫১ জন হজযাত্রীর প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে মোল্লা ট্রাভেল্স ও ডিলাইট এয়ার এক্সপ্রেস হজ এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাদের হজযাত্রা।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে হজযাত্রীরা শহরের কালিবাড়ী মন্দিরের বিপরীতে গিয়াসউদ্দিন সরকার ভিলায় ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতারণার কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

হজযাত্রীদের কাগজপত্রের বিবরণ ও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মোল্লা ট্রাভেলসের হজ লাইসেন্স নম্বর ১০৪৬ এবং ডিলাইট এয়ার এক্সপ্রেসের হজ লাইসেন্স নমবর ৭২৮। ৫১ জন হজযাত্রীর মধ্যে ১৭ জনের ফ্লাইট গতকাল বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। সে লক্ষ্যে তারা ৭ আগস্ট ঢাকায় যান। সেখানে এজেন্সির হজ পরিচালক মো. শাহজাহান তাদের কাকরাইল মসজিদে রেখে হজের আনুষঙ্গিক কাগজপত্র না দিয়ে চলে যান। এতে হজযাত্রীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করেন।

হজযাত্রীদের আত্মীয়-স্বজন ও হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনকারী অন্য হজযাত্রীরা চাঁদপুর অফিসে এসে জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মাহমুদ হাসান ওরফে মাসুদ এখানে আসেন না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। অফিসের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে।

অফিসে আল আমিন নামের একজন পিয়ন কাম কম্পিউটার অপারেটর বলেন, ‘আমি চাকুরিতে যোগ দিয়েছি ১ মাস হয়েছে। আমার দায়িত্ব হলো অফিস খুলে বসা। আমি তাদের কাজের কিছুই জানি না।’ আল আমিন আরও জানান, এ অফিস থেকে ৫১ জন হজযাত্রীকে সিভিল সার্জন অফিসে নিয়ে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র দুজন হজের জন্য সৌদি আরবে গেছেন।

কয়েকজন যাত্রী জানান, কাকরাইল মসজিদে থাকা ১৭ জন হজযাত্রী গত ৮ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় মো. মাহমুদ হাসান ওরফে মাসুদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

কাকরাইল মসজিদে থেকে প্রকৌশলী খোরশেদ আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা প্রতারণার কথা বুঝতে পেরে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এজেন্সির হজ পরিচালক মো. শাহজাহানও আমাদের ফোন রিসিভ করছেন না। এখন আমাদের কী উপায় হবে আল্লাহ ভালো জানেন।’

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমেন বড়–য়া ডায়েরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মো. মাসুদ হাসান ওরফে মাহমুদ তার আসল নাম নয়, তার আসল নাম হলো তাজুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় হজে নেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের আর দুটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন তারা।

হজযাত্রীদের মধ্যে শহরের সিলন্দিয়া গ্রামের আবুল বাসার মুন্সি, তার স্ত্রী ফাতেমা মুন্সি ও ছেলে খোরশেদ আলম জানান, তারা তিনজন হজে যাওয়ার জন্য মোট ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন। জিটি রোডের শামসুন্নাহার ৩ লাখ, স্বর্ণখোলা রোডের অলিউল্যাহ ও তার স্ত্রী জ্যোন্সা বেগম ৬ লাখ, শাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়ার মো. রফিকুল ইসলাম ৩ লাখ ১০ হাজার, বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরুয়ার আবু তাহের, স্বর্ণখোলা রোডের মাহফুজা বেগম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন বলে জানান।

মোট ৫১ জন যাত্রী হজে যেতে এই এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করেন, যাদের মোট টাকার পরিমাণ দেড় কোটির বেশি। মোল্লা ট্রাভেলস ও ডিলাইট এয়ার এক্সপ্রেসের হজ পরিচালক মো. শাহজাহানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একজন নারী বলেন, ‘শাহজাহান আমার স্বামী। তিনি অসুস্থ। মিরপুরের ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

পল্লবীতে পাভেল হত্যা: নেপথ্যে মাদক ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৮

মাদক-ইয়াবা কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হটলাইন থেকে গ্রাহককে ফোন, অ্যাকাউন্টের টাকা হাওয়া

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৮, মামলা ৬

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার 

এটিএম বুথের প্রহরী হত্যা: টাকা লুটের উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত কারণ? কী বলছে পুলিশ?

রাজধানীতে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

কেএনএফকে সহযোগিতা, বান্দরবান থেকে একজন গ্রেপ্তার

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সেই চিকিৎসকের মৃত্যু

রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা, নিঃস্ব বহু ট্রাভেল ব্যবসায়ী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :