বাগেরহাটে জামায়াতের শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে বাগেরহাট জামায়াত ইসলামীর শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মঞ্জুরুল হক রাহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ রাহাদকে গ্রেপ্তার করে। তাকে মোরেলগঞ্জ থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে জামায়াতের দাবি, শ্রমিক নেতা রাহাদকে সুনির্দিষ্ট কোন মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঞ্জুরুল হক রাহাদ জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, জামায়াত ইসলামীর শ্রমিক সংগঠন শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মঞ্জুরুল হক রাহাদের নামে বাগেরহাটের বিভিন্ন থানায় নাশকতা পরিকল্পনা, পুলিশের ওপর হামলার মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। শ্রমিক নেতা রাহাদ এলাকায় ফিরেছে এমন গোপন সংবাদে গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের যৌথদল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে আবারও এলাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, সে আশঙ্কা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, রাহাদ শরণখোলা থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাগেরহাট সদরের বাড়িতে ফেরার সময় মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি মঞ্জুরুল হক রাহাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেসব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। এই সরকারের সময়ে রাহাদ অসংখ্যবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া হয়রানি করতে পুলিশ জামায়াতের এই শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তার মুক্তি দাবি করছি।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)