ভৈরবে হাসপাতালে শিশুচোর সন্দেহে মা-মেয়ে আটক

রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৮, ২০:৫৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি সন্দেহে পেয়ারা বেগম (৩৮), ও হোসনে আরা বেগম (৬০) নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে তারা সম্পর্কে মা মেয়ে।

শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আজিজ খানের মেয়ে পিয়ারা বেগম এবং তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম।

পিয়ারা বেগমের স্বামীর নাম হাবিবুর রহমান। তার বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মেঘলা বেগম নামের এক গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নবজাতক শিশুর জন্ম দেন। এদিন শিশু ‘চোর’ পিয়ারা বেগম হাসপাতালে এসে গৃহবধূর মায়ের সাথে নবজাতকের খোঁজ খবর নিয়ে গল্প গুজব করেন। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন তার ঐদিন ডেলিভারি তারিখ। তার পরই প্রতারক পেয়ারা বেগম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এরপর দুই প্রতারক মহিলা আজ শনিবার সকালে হাসপাতালে এসে আবারও নবজাতকের মায়ের বেডের সামনে বার বার ঘুরাঘুরি করতে থাকেন ।

এ সময় নবজাতকের নানী আছিয়া বেগম তাকে জিঙ্গাসাবাদ করলে সে আবোল তাবোল কথা বলেন। সন্দেহ হয় তিনি নবজাতক চুরি করতে এসেছেন। নবজাতকের মা মেঘলা বেগম তার তার মাকে জানায় প্রতারক দুই মহিলা গত বৃহস্পতিবারও তার কাছে এসেছিলেন। ঘটনাটি হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সকে জানানো হলে ওই নার্স তাকে জিঙ্গাসাবাদ করে ঊর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশে দুই মহিলাকে হাসপাতালের একটি রুমে আটকে রাখা হয়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিনিয়র নার্স পিয়ারা বেগম জানান, সকালে আমি একজন টুয়িন বেবির ভেলিভারি করছিলাম। তখন ঐ সন্দেহভাজন মহিলা আমার কাছে এসে বলছে আজকে আমার তার ডেলিভারির তারিখ। তখন তাকে দেখে আমার সন্দেহ মনে হয়। তারপর প্রতারক মহিলাকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করে তার পেটে বাঁধা অনেকগুলি কাপড় পাওয়া যায়। তবে গর্ভবতী হওয়ার কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তার চিকিৎসার কাগজপত্র চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি। পরে আটক করে ডাক্তারদের ঘটনাটি জানানো হয়ে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দিয়ে দুই মহিলা প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করে।

নবজাতকের নানা আলম মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার আমার মেয়ের বাচ্চা প্রস্রবের পর থেকেই প্রতারক মহিলা দুজন সন্দেহজনক ঘুরাঘুরি করছিল। যখন আমরা তার পরিচয় জানতে চাই তখন জানায় সে না গর্ভবতী। বাচ্চা প্রসবের জন্য হাসপাতালে এসেছে। তারপরই কর্তব্যরত নার্সকে এ বিষয়টি জানাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কেএনএম জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে তিনি জানান।

ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :