শিউলী হত্যা: আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুষ্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী মৃত্যুর ঘটনায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা শিউলীর সহকর্মী আরিফের কাছ থেকে কোন তথ্য পায়নি পুলিশ।
দ্বিতীয় দফায় আরিফকে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
গত ২৬ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বাস যোগে পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে আর্তচিৎকারের কিছুক্ষণ পর দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার ১৫ দিন পর বাসটি আটক এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস চালক রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
রনি শেখ ও রানা শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে।
শিউলীর সহকর্মী আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। আরিফকে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন ফলপ্রসূ তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। আরিফের দেয়া এলোমেলো তথ্যে পুলিশ এই ঘটনার সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজান জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার ওসি একে এম মিজানুর হক বলেন, বাস চালকের ভাষ্য মতে- আরিফই এই ঘটনার মূল। আরিফকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)